Thank you for trying Sticky AMP!!

জোড়া লাগানো যমজ নবজাতক নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরিবার

জোড়া লাগানো যমজ রাজা ও বাদশার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়া প্রয়োজন। তবে অর্থ সংকটে সেটা পারছেন না নবজাতক দুটির পরিবার। সুজানগর, পাবনা, ২ জুলাই। ছবি: হাসান মাহমুদ

পাবনার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে রোববার রাতে জোড়া লাগানো যমজ দুই ছেলে নবজাতকের জন্ম হয়েছে। তাদের শরীর আলাদা হলেও পেটের দিকে জোড়া লাগানো আছে। নবজাতক দুইটির নাম রাখা হয়েছে রাজা ও বাদশা। বর্তমানে দুই নবজাতক পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছে।

চিকিৎসকেরা বলেছেন, দুই নবজাতকের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়া প্রয়োজন। তবে অর্থ সংকটের জন্য আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত সেটা সম্ভব হয়নি।

ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ও নবজাতকের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, এই জোড়া লাগানো যমজের বাবা-মা জেলার সুজানগর উপজেলার কাদুয়া গ্রামের ফিরোজ শেখ (২৭) ও সনিয়া খাতুন (২১)। বাবা ফিরোজ শেখ দিনমজুর। সনিয়া খাতুন গৃহিণী। রোববার সন্ধ্যায় স্ত্রীর প্রসব ব্যথা শুরু হলে তাকে জেলা শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করেন ফিরোজ। রাতে সেখানেই এই জোড়া লাগানো যমজ নবজাতকের জন্ম হয়। তবে জন্মের পর থেকেই নবজাতক দুইটির শারীরিক ত্রুটি থাকায় চিকিৎসকেরা উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দেন। তবে দরিদ্র বাবার পক্ষে সেটা সম্ভব হয়নি। কোনো উপায় না পেয়ে ফিরোজ নবজাতক দুটিকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। নবজাতক দুটির মা ক্লিনিকেই আছেন।

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ নীতিশ কুমার প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিকভাবে দেখে নবজাতক দুটিকে সুস্থ মনে হয়েছে। তবে তাদের দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অথবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নিয়ে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা প্রয়োজন। এসব পরীক্ষার মাধ্যমে দেখতে হবে, শিশুদের হার্ট বা শরীরের অন্য অঙ্গগুলো পৃথক আছে কিনা। যদি সব ঠিকঠাক থাকে তাহলে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাদের আলাদা করা যাবে।

বাবা ফিরোজ শেখ প্রথম আলোকে বলেন, চিকিৎসকেরা দুই দিন আগেই শিশুদের ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেছেন। তবে টাকার অভাবে তিনি ঢাকায় যেতে পারছেন না। আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে ধার দেনা করে হাসপাতাল ও ক্লিনিকের খরচ চালিয়েছেন। এখন কী করবেন কিছু বুঝতে পারছেন না।