Thank you for trying Sticky AMP!!

জ্বর-শ্বাসকষ্টের রোগী ভর্তি শুনে হাসপাতাল ফাঁকা

মেহেরপুর

জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন মধ্য বয়সী এক ব্যক্তি। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভর্তি রোগীর বেশির ভাগই হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

ওই ব্যক্তির বড় ছেলে বলেন, গত রোববার তাঁরা তাঁর বাবাকে জেনারেল হাসপাতালে নেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে ভর্তি না নিয়ে জরুরি বিভাগে পাঠায়। পরে সেখান থেকে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে হাসপাতাল ছাড়তে বলা হয়। শ্বাসকষ্ট ও কাশি না কমায় গতকাল রাত ৯টার দিকে বাবাকে তাঁরা গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। প্রথমে তাঁকে ভর্তি করাতে চায়নি। পরে ওই ব্যক্তিকে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালে দায়িত্বরত দুজন কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তি হয়েছেন—এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে। রাতেই ভর্তি অনেক রোগী হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান। আজ সকাল নাগাদ হাসপাতাল প্রায় ফাঁকা হয়ে যায়।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রিয়াজুল আলম বলেন, গতকাল প্রায় ৭০ জন রোগী ভর্তি ছিলেন এই হাসপাতালে। জ্বর–শ্বাসকষ্ট নিয়ে রোগী ভর্তির খবর শুনে অনেকে হাসপাতাল ছেড়ে যান। তবে কয়েকজন এখনো আছে। পরীক্ষা না করে ওই রোগী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিনা, তা বলা যাচ্ছে না। তাঁকে আইসোলেশন বেডে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সঙ্গে কথা হয়েছে।

সিভিল সার্জন মো. নাসির উদ্দীন বলেন, রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। অন্য রোগীরা অহেতুক আতঙ্কে হাসপাতাল ছেড়ে গেছেন।