Thank you for trying Sticky AMP!!

জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে একজনের মৃত্যু, আরেক রোগীর পলায়ন

প্রতীকী ছবি

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তিনি মারা যান। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কি না নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।

মৃত ব্যক্তির বাড়ি নওগাঁর মান্দা উপজেলায়। গতকাল দুপুরে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহভাজন রোগীদের জন্য স্থাপন করা ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের আইসোলেশনে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত দেড়টার দিকে তিনি মারা যান।

আজ রোববার বেলা ১১টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে করোনাভাইরাস নির্ণয় ও চিকিৎসা কমিটির আহ্বায়ক এবং মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আজিজুল হক ওই মৃত্যুর তথ্য জানান।

আজিজুল হক জানান, নওগাঁর মান্দা থেকে আসা ওই রোগীর প্রচণ্ড জ্বর ও শ্বাসকষ্ট ছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। তিনি অজ্ঞান অবস্থায় থাকার কারণে তাঁর কাছ থেকে কিছু জানা সম্ভব হয়নি। তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। যেহেতু করোনাভাইরাসের কিছু উপসর্গ তাঁর মধ্যে ছিল, এ জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাঁর সৎকার করতে বলা হয়েছে।

আজিজুল হক আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে আরও তিনজনকে আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজনের বাড়ি নগরের দরগাপাড়ায়। তাঁর বয়স প্রায় ৬০ বছর। অপরজনের বাড়ি নগরের কাশিয়াডাঙ্গা এলাকায়। এই নারীর বয়স ২৬ বছর। এ ছাড়া নওগাঁ থেকে ৫০ বছরের এক ব্যক্তি ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আজ তাঁদের করোনা পরীক্ষা করা হবে।

এর আগে গত শুক্রবার জ্বর-সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে যে দুজন ভর্তি হয়েছিলেন, তাঁদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁদের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি।

শ্বাসকষ্ট নিয়ে রোগীর পলায়ন
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে শ্বাসকষ্ট নিয়ে পালিয়েছেন এক রোগী। গতকাল ওই রোগী হাসপাতালে আসেন। তাঁকে ‘অবজারভেশন’ ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। আজ সকাল থেকে তাঁকে হাসপাতালে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি রাজশাহী নগরের বাসিন্দা।

এ সম্পর্কে ব্রিফিংয়ে আজিজুল হক বলেন, ওই রোগীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁর শরীরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় সুস্পষ্ট লক্ষণ ছিল না। তাই তাঁকে অবজারভেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল। তাঁর হার্টের সমস্যার জন্য ফুসফুসে পানি জমেছিল বলে চিকিৎসকেরা সন্দেহ করেছিলেন। তিনি হয়তো এখানে থাকতে রাজি নন, তিনি তাঁদের না বলেই চলে গেছেন।

আজিজুল হক বলেন আরও বলেন, এটা মূলত রোগীর আতঙ্কের কারণে ঘটছে। তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। একজন রোগী হাসপাতাল থেকে চলে যেতে চাইলে তিনি লিখিতভাবে জানিয়ে চলে যেতে পারেন। এটা তাঁর অধিকার আছে। তবে একেবারে না জানিয়ে যাওয়াটা তাঁদের জন্য কষ্টকর। তাঁরা রোগীদের আতঙ্ক দূর করার চেষ্টা করছেন।