Thank you for trying Sticky AMP!!

জ্বর শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তির দাফনে বাধা

প্রতীকী ছবি

জ্বর, সর্দি–কাশি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যাওয়া এক ব্যক্তিকে গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় দাফনের সময় বাধা দেয় গ্রামবাসী। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ওই ব্যক্তিকে দাফন করা হয়।

জানা গেছে, ওই ব্যক্তিকে (৩২) নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে গতকাল বুধবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।পরে গভীর রাতে তাঁর লাশ এলাকায় পৌঁছালে দাফনে বাধা দেন এলাকাবাসী। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ফাহমিদা হক এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ইউএনও ফাহমিদা হক ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, ওই ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন। সেখানে দর্জির কাজ করতেন। গত তিন-চার দিন আগে তাঁর জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। পরিবারের লোকেরা তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে গতকাল রাত আটটায় মারা যান তিনি।

ইউএনও ফাহমিদা হক বলেন, গতকাল দিবাগত রাত একটায় সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ওই ব্যক্তির লাশ নিজের গ্রামের বাড়ি মতলব দক্ষিণ উপজেলার নাউজান গ্রামে পৌঁছায়। পরিবারের লোকেরা লাশ দাফন করতে চাইলে এলাকার লোকজন এতে বাধা দেন। পরে তিনি পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীকে বোঝাতে সক্ষম হন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা মেনে সীমিত লোকের উপস্থিতিতে ওই ব্যক্তির লাশ দাফন করা হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রাজিব কিশোর বণিক বলেন, মৃত্যুর তিন ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ায় ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। তাঁর পরিবারের সদস্যদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

আরএমও রাজিব কিশোর বণিক জানান, গত এপ্রিল থেকে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাঁর উপজেলায় ৫৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ছয়জনের। করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন দুজন।