Thank you for trying Sticky AMP!!

ঝাড়ু হাতে শহরে নামলেন ডিসি-ইউএনওরা

ঝাড়ু-ঝুড়ি হাতে শহর পরিচ্ছন্নতায় জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার সকালে বাগেরহাট শহরের ডাকবাংলো বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ প্রাঙ্গণে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী সামনে রেখে বাগেরহাটে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার সকালে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) আ ন ম ফয়জুল হক।

উদ্বোধন শেষে ঝাড়ু ও ঝুড়ি হাতে নিয়ে মাঠে নেমে যান ডিসিসহ জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা। তাঁরা প্রায় এক ঘণ্টা ধরে শহীদ মিনার, ডাকবাংলো বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ এবং রাস্তায় পড়ে থাকা ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করেন। প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও শিক্ষক, পেশাজীবী, জনপ্রতিনিধিরা এ কাজে যোগ দেন।

পরিচ্ছন্নতার কার্যক্রমে অংশ নেওয়া অন্যদের মধ্যে ছিলেন বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রিজাউল করিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. শাহীনুজ্জামান, স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক দেবপ্রসাদ পাল, বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া পারভীন, বাগেরহাট ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আহাদ উদ্দিন হায়দার প্রমুখ।

জেলা প্রশাসক আ ন ম ফয়জুল হক বলেন, ‘এখন থেকে বাগেরহাটে এই কার্যক্রম নিয়মিত চলমান থাকবে। সপ্তাহে দু–এক দিন বিভিন্ন পাড়ামহল্লায় আমাদের কার্যক্রম দেখতে পাবেন। আমি একটি রুটিন করে দেব। শহরের যেসব স্কুল-কলেজ আছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের স্কাউট, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা সপ্তাহের একটা দিন একেকটা প্রতিষ্ঠান শহরের বধ্যভূমি, শহীদ মিনার, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ পরিচ্ছন্নতার কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এই কাজ নিয়মিত করতে পারলে শহীদদের প্রতি আমরা যে সম্মান দেখাই, তা বাস্তব অর্থে সম্মান দেখানো হবে।’

শহরকে পরিষ্কার রাখা সবার দায়িত্ব উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক বলেন, সবাই নিজ উদ্যোগে যাঁর যাঁর অবস্থানে থেকে কার্যক্রম অব্যাহত রাখবেন বলে তিনি আশাবাদী।