Thank you for trying Sticky AMP!!

ঝালকাঠিতে ইউপি চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে জখম

ঝালকাঠি জেলার মানচিত্র

ঝালকাঠি সদরের গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বর্তমান চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকির হোসেনকে (৫৫) কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে গাবখান সেতুর নিচে চেয়ারম্যানের বাড়ির কাছে কয়েক দফা কুপিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

পরিবারের লোকজন জানান, জাকির হোসেনের শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে কয়েক ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেনকে কুপিয়ে জখম করার খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় মানুষের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হয়েছে। তাঁর ছেলে মিনহাজুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার নির্বাচনে গণসংযোগ করার সময় তাঁর বাবাকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে আহত করে। তাঁর বাবা আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় নৌকার প্রার্থী ঈর্ষান্বিত হয়ে তাঁর সমর্থিত লোকজন দিয়ে কুপিয়েছেন। তারা মাথা, পিঠ ও পায়ে ৫টি কোপ দিয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিক তাঁর বাবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মোটরসাইকেলে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে বাধা দেওয়া হয়। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঝালকাঠি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেও তাঁর বাবাকে ভর্তি হতে দেওয়া হয়নি। সেখান থেকে পুলিশের সহায়তায় বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

পরিবারের অভিযোগ, ইউপি চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকির হোসেনকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিক রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মোটরসাইকেলে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে বাধা দেওয়া হয়। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঝালকাঠি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেও তাঁর বাবাকে ভর্তি হতে দেওয়া হয়নি। সেখান থেকে পুলিশের সহায়তায় বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

মিনহাজুল আরও বলেন, ‘ঘটনার সময় বাবার সঙ্গে আমরা আরও ৩ জন আহত হয়েছি। আমার বাবা ১০ বছর এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা নিয়েই কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে হামলাকারীরা।’

শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. রাব্বি জানান, গুরুতর জখম এই রোগীকে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাই রক্ত দেওয়া হচ্ছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান প্রথম আলোকে জানান, চেয়ারম্যানের ওপর হামলার বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাননি। তবে ঘটনাস্থলে পরিদর্শক তদন্তকে পাঠিয়েছেন। চেয়ারম্যান সুস্থ হয়ে অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।