Thank you for trying Sticky AMP!!

ঝালকাঠিতে ভারী বৃষ্টিতে ৪০ লাখ কাঁচা ইট নষ্ট

বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচাতে কাঁচা ইট পলিথিনে ঢেকে দেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। কয়েক লাখ ইট ভিজে গলে গেছে। গতকাল রোববার তোলা ছবি। প্রথম আলো

পৌষ মাস শীতকাল। এ সময় সাধারণত বৃষ্টি হয় না। কিন্তু ঝালকাঠিতে এই অসময়েই ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এতে ৬০টি ভাটার প্রায় ৪০ লাখ কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেছে। ইটভাটার মালিকেরা এই দাবি করেছেন। এতে তাঁরা বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়েছেন। আর্থিক ক্ষতির মুখে অনেক ইটভাটা বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বেকার হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার শ্রমিক।

ইটভাটার মালিক ও শ্রমিকদের সূত্রে জানা গেছে, সাধারণত পৌষ মাসে বৃষ্টি হয় না। এই ভরসায় চলতি মাসে এই ভাটাগুলোতে প্রচুর ইট তৈরি করা হয়। কাঁচা ইট রোদে শুকিয়ে পোড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ভাটার মালিকেরা। কিন্তু বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার রাত পর্যন্ত থেকে থেকে ভারী বৃষ্টি হয়। এতে ভিজে এসব কাঁচা ইট নরম হয়ে গলে যায়। ৬০টি ইটভাটায় প্রায় ৪০ লাখ কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেছে। মালিকদের হিসাব অনুযায়ী, এতে তাঁদের প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেক ইটভাটায় কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে প্রায় সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন।

গতকাল রোববার সকালে ঝালকাঠি সদরের ঢাপোর এলাকার এআরএস ব্রিকস ও নলছিটি উপজেলার কুশাংঙ্গল ইউনিয়নের ফয়রা গ্রামের থ্রি স্টার ব্রিকসসহ কয়েকটি ইটভাটায় দেখা গেছে, মাঠে তৈরি করা কাঁচা ইটগুলো বৃষ্টির কারণে কাদামাটিতে পরিণত হয়েছে। কিছু ইট পলিথিন দিয়ে ঢাকার চেষ্টা হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ভাটার শ্রমিকেরা অলস সময় পার করছেন।

সেখানে উপস্থিত শ্রমিকদের তত্ত্বাবধায়ক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ইট তৈরির মৌসুম শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুই দফা বৃষ্টি হয়েছে। এতে আমাদের ভাটার কমপক্ষে পাঁচ লাখ কাঁচা ইট সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। শ্রমিকেরাও বেকার হয়ে পড়েছেন।’

থ্রি স্টার ব্রিকসের কারিগর আবদুল কুদ্দুস বলেন, অসময়ের বৃষ্টিতে পোড়ানোর জন্য প্রস্তুত করা কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেছে। এতে ভাটার মালিকেরা লোকসানের মুখে পড়েছেন। নতুন করে ইট তৈরি কাজ শুরু করতে না পারায় শ্রমিকেরা বসে আছেন।

নলছিটি পৌরসভার সারদল এলাকার এমএমআর ব্রিকসের মালিক মো. মহিদুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টিতে উপজেলার ২৫টির বেশি ভাটার মালিকদের কোটি টাকার কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেছে। এতে হতাশ হয়ে পড়েছেন ইটভাটার মালিকেরা।

ঝালকাঠি জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি লিয়াকত আলী তালুকদার বলেন, এই জেলার ইটভাটার প্রত্যেক মালিকের গড়ে ৬০ হাজার টাকার ইট নষ্ট হয়েছে। এই ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ভাটার মালিকদের কষ্ট হবে।