Thank you for trying Sticky AMP!!

টাঙ্গাইলে চার মাসে করোনায় সংক্রমিতের সংখ্যা ১৮৩৫

প্রতীকী ছবি। ছবি: রয়টার্স

টাঙ্গাইলে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার চার মাস পূর্তিতে আজ শনিবার কোভিড–১৯–এ আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৮০০ ছাড়িয়ে গেছে। জেলায় বর্তমানে করোনায় সংক্রমিতের সংখ্যা ১ হাজার ৮৩৫ জন। তাঁদের মধ্যে ১ হাজার ১২০ জন সুস্থ হয়েছেন। মারা গেছেন ৩০ জন এবং বর্তমানে ৬৮৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, জেলায় গত ৮ এপ্রিল প্রথম একজনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। ওই মাসে জেলায় মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ২৪ জন। মে মাসে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে হয় ১৬৫ জন। জুনে সেই সংখ্যা দাঁড়ায় ৬১২ জনে। জুলাই থেকে সংক্রমিতের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। জুলাই মাসে সংক্রমিতের সংখ্যা হয় ১ হাজার ৬৩৮ জন। শনিবার (৮ আগস্ট) ৪২ জন কোভিড রোগী শনাক্তের মধ্যে দিয়ে জেলায় মোট সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৩৫ জন।

জেলায় শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় আছেন সর্বোচ্চ ৬৯৫ জন। এ ছাড়া নাগরপুরে ৫৮ জন, দেলদুয়ারে ৬৭ জন, সখীপুরে ৮৯ জন, মির্জাপুরে ৩৭৬ জন, বাসাইলে ৪৭ জন, কালিহাতীতে ৯৩ জন, ঘাটাইলে ৭৯ জন, মধুপুরে ১১৮ জন, ভূঞাপুরে ৯৬ জন, গোপালপুরে ৬৭ জন ও ধনবাড়ীতে ৫০ জন শনাক্ত হয়েছেন।

চিকিৎসকেরা বলছেন, গত মে মাস পর্যন্ত জেলায় সংক্রমিতের সংখ্যা কম ছিল। তখনো ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশন’ ছিল না। রোজার ঈদের আগে জেলায় শনাক্ত ব্যক্তিদের সবাই ছিলেন ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জসহ দেশের অন্য এলাকা থেকে আসা। কিন্তু ওই ঈদের আগে মার্কেট খুলে দেওয়া এবং লকডাউন শিথিল হওয়ায় মানুষের চলাচল বেড়ে যায়। ফলে দ্রুত বাড়তে থাকে সংক্রমণ।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শফিকুল ইসলাম জানান, কমিউনিটি ট্রান্সমিশন কমাতে হলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কোনো বিকল্প নেই। প্রত্যেককেই মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়াই নিরাপদ।

টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ও জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব মো. ওয়াহীদুজ্জামান জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলা ও সচেতনতার অভাবে সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ছে। তবে সুস্থতার হার সন্তোষজনক বলে তিনি মনে করেন।