Thank you for trying Sticky AMP!!

টাঙ্গাইলে নদীর পানি বাড়ায় ভাঙনের আশঙ্কা

টাঙ্গাইলে নদ-নদীর পানি বাড়ায় চরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি আবার অবনতির দিকে যাচ্ছে। নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষ ভাঙনের আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন।

জেলা প্রশাসনের বন্যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্র জানায়, জেলার ছয়টি উপজেলার ১৩৭টি গ্রাম বন্যাকবলিত হয়েছে। এসব গ্রামের ২১ হাজার ১৭৮টি পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বন্যাকবলিত গ্রামগুলোর বেশির ভাগ যমুনার চরাঞ্চলে।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, আজ রোববার সকাল পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি ১১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, ঝিনাই নদের পানি ৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে ধলেশ্বরী নদীর পানি ১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে পানি বাড়ায় যমুনার তীরবর্তী এলাকার মানুষ আবারও নদীভাঙনের আশঙ্কা করছেন। অনেকে বাড়িঘর সরিয়ে নিচ্ছেন। গত শনিবার কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ি ইউনিয়নের বেলটিয়া গ্রামে গিয়ে বেশ কয়েকজনকে বসতবাড়ি সরিয়ে নিতে দেখা গেল। ওই গ্রামের মমতা বেগম জানান, তাঁদের আবাদি জমি এবার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখন শুধু বসতবাড়ি আছে। ভয়ের মধ্যে আছেন, কখন যে বাড়িও ভেঙে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এবার বন্যার শুরুতেই আলীপুর ও বেলটিয়া গ্রামের অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ও ৪০ বিঘা আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এখনো ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বেলটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্থানীয় দুটি মসজিদ, আলীপুর দারুল সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসাসহ দুই শতাধিক বাড়িঘর। পাউবো সূত্র জানায়, ভাঙন রোধে বেলটিয়া ও আলীপুর এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।