Thank you for trying Sticky AMP!!

টেকনাফে নাইট ভিশন ডিভাইসের মাধ্যমে ৮০ হাজার ইয়াবা জব্দ

টেকনাফে নাইট ভিশন ডিভাইসের মাধ্যমে ৮০ হাজার ইয়াবা জব্দ করেছে বিজিবি সদস্যরা। আজ সোমবার সকালে

কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদীর সীমান্তে স্থাপিত নাইট ভিশন ডিভাইসের (রাতে দেখতে সক্ষম যন্ত্র) মাধ্যমে ৮০ হাজার ইয়াবা বড়ির একটি চালান উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেননি বিজিবি সদস্যরা। জব্দ ইয়াবার দাম ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

গতকাল রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের আনোয়ার মৎস্য খামারসংলগ্ন বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে এ চালানটি জব্দ করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে সাড়ে চারটার দিকে প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ ২ বিজিবির ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান।

রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে এ চালানটি জব্দ করা হয়েছে। জব্দ ইয়াবার দাম ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

ফয়সল হাসান খান বলেন, রোববার রাতে ব্যাটালিয়ন সদরের সার্ভার কক্ষের সার্ভেল্যান্স সিস্টেম নাইট ভিশন ডিভাইস থেকে কয়েকজন ব্যক্তিকে মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে আসতে দেখা যায়। হ্নীলা সীমান্তচৌকির আনোয়ার মৎস্য খামার থেকে আনুমানিক ৩০০ গজ দক্ষিণে এবং বিআরএম-১২ থেকে এক কিলোমিটার দক্ষিণ দিক দিয়ে হ্নীলার চৌধুরীপাড়ার (খরের দিয়া) দিকে ওই ব্যক্তিরা বইঠা বেয়ে নৌকায় আসছিলেন। তাৎক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র থেকে ওই এলাকার বিজিবির বিশেষ টহল দলের কমান্ডারকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। পাশাপাশি ওই টহল দলকে অনুপ্রবেশকারীদের আটকাতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

তবে বিজিবির টহল দল ওই এলাকায় পৌঁছার আগেই নৌকা থেকে দুজন ব্যক্তিকে একটি প্লাস্টিকের বস্তা মাথায় করে বেড়িবাঁধের আনোয়ার মৎস্য খামারের কাঁটাতারের বেড়া অতিক্রম করতে দেখা যায়। এ সময় তাঁদেরকে আটক করার জন্য অগ্রসর হলে বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারিরা বস্তাটি ফেলে মৎস্য খামারের ভেতর দিয়ে পালিয়ে যান। পরে ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে ফেলে যাওয়া প্লাস্টিকের বস্তার ভেতর থেকে ৮০ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। এ সময় নৌকাটি জব্দ করা হয়। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

অধিনায়ক আরও বলেন, নাফ নদীর সীমান্তে এই ডিভাইস স্থাপনের পর থেকে একের পর এক সফলতা পাওয়া যাচ্ছে। উদ্ধার করা ইয়াবাগুলো ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থার মাধ্যমে পরবর্তী সময়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে।