Thank you for trying Sticky AMP!!

টেকনাফে র‍্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৩ রোহিঙ্গা নিহত

বন্দুকযুদ্ধ

কক্সবাজারের টেকনাফে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনায় তিন রোহিঙ্গা ‘ডাকাত’ নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে টেকনাফের শালবন-জাদিমুরা পাহাড়ি এলাকায় দুই পক্ষের ওই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। র‍্যাবের দাবি, নিহত ব্যক্তিরা সবাই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী জাকির বাহিনীর সদস্য ও ডাকাত।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে র‍্যাব-১৫ কক্সবাজারের অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ বলেন, সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে ২টি পিস্তল, ২টি বন্দুক, ৫টি ওয়ান শুটারগানসহ মোট ৯টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ২৫টি গুলি উদ্ধার হয়েছে। ঘটনাস্থল র‍্যাবের অভিযান দল ঘিরে তল্লাশি চালাচ্ছে।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে টেকনাফের শালবন-জাদিমুরা পাহাড়ি এলাকায় ওই ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। র‍্যাবের দাবি, নিহত ব্যক্তিরা সবাই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী জাকির বাহিনীর সদস্য ও ডাকাত।

র‍্যাব সূত্র জানায়, জঙ্গলে সন্ত্রাসী জাকির বাহিনীর অবস্থানের খবর পেয়ে মাঠে নামে র‍্যাব। সন্ধ্যায় পাহাড়ি এলাকার একটি আস্তানায় হানা দিলে সন্ত্রাসীরা র‍্যাবকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে র‍্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। ঘণ্টাব্যাপী চলা বন্দুকযুদ্ধের পর র‍্যাব ঘটনাস্থল থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে। এর মধ্যে একজনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তিনি হলেন টেকনাফের শালবন ও জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কুখ্যাত ডাকাত জাকির বাহিনীর প্রধান জাকির হোসেন। জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, মাদকসহ ২০টির বেশি মামলা রয়েছে। নিহত অপর দুজনও জাকির বাহিনীর সদস্য বলে ধারণা করছে র‌্যাব। তবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত হয়নি।

Also Read: টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে ইয়াবা কারবারি নিহত: বিজিবি

ঘণ্টাব্যাপী বন্দুকযুদ্ধের একপর্যায়ে জাকির বাহিনীর সদস্যরা গভীর পাহাড়ে আত্মগোপন করেন। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে র‍্যাব তিন রোহিঙ্গার মৃতদেহ ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে। বন্দুকযুদ্ধে র‍্যাবের একজন সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।