Thank you for trying Sticky AMP!!

টেকনাফ থেকে এবার গণস্বাক্ষর নেওয়া শুরু করলেন ‘হানিফ বাংলাদেশি’

কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে গণস্বাক্ষর নেওয়া শুরু করেছেন ‘হানিফ বাংলাদেশি’। শুক্রবার সকালে টেকনাফ উপজেলা পরিষদের সামনে।

জনগণের ভোটাধিকার ও কার্যকর গণতন্ত্রের জন্য এবার কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে গণস্বাক্ষর নেওয়া শুরু করেছেন ‘হানিফ বাংলাদেশি’। টেকনাফ থেকে পর্যায়ক্রমে গণস্বাক্ষর নিয়ে তিনি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় পৌঁছাবেন।

সেই লক্ষ্যে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত টেকনাফ পৌরসভার জিরো পয়েন্ট এলাকার বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়েছেন। বিকেল চারটার দিকে তিনি উখিয়া উপজেলায় পৌঁছে সেখানে গণস্বাক্ষর নেন। পরে তিনি কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা হন।

৩৯ বছর বয়সী মোহাম্মদ হানিফ মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে, মুখে বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত মাস্ক পরে, গলায় প্ল্যাকার্ড ও হাতে গণস্বাক্ষরের প্ল্যাকার্ড নিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়ার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছেন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইস্যুতে তিনি দেশজুড়ে নানা কর্মসূচি পালন করেছেন। তাঁর এমন কার্যক্রমে বন্ধু-স্বজনেরা তাঁকে ‘হানিফ বাংলাদেশি’ বলে ডাকেন। বর্তমানে তিনি এই নামেই পরিচিত।

Also Read: সীমান্তে হত্যার প্রতিবাদে প্রতীকী লাশ নিয়ে পদযাত্রা

Also Read: প্রতীকী লাশ নিয়ে ‘হানিফ বাংলাদেশি’ এখন বগুড়ায়

জনগণের ভোটাধিকার ও কার্যকর গণতন্ত্রের দাবিতে তেঁতুলিয়ার উদ্দেশে পায়ে হেঁটে টেকনাফ থেকে যাত্রা শুরু করেছেন মোহাম্মদ হানিফ। শুক্রবার সকালে টেকনাফ উপজেলায়

এবারের এই কর্মসূচির বিষয়ে মোহাম্মদ হানিফ বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর ধরে সব শাসককে দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার লুণ্ঠিত হয়েছে। গণতন্ত্র বাক্স্বাধীনতা সংকুচিত হয়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে জনগণের প্রত্যাশা, ভোটাধিকার ও কার্যকর গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। ভোটাধিকার কার্যকর ও গণতন্ত্রের দাবি নিয়ে দেশব্যাপী এই গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শুরু করেছেন তিনি।

হানিফের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৭ ডিসেম্বর ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে এই গণস্বাক্ষর কর্মসূচির উদ্বোধন করেন দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা ও ফটোসাংবাদিক শহিদুল আলম। পরে হানিফ ঢাকা থেকে রাতেই বাসে করে টেকনাফে চলে আসেন। ৬৪টি জেলার ৪৯২টি উপজেলার প্রতিটি শহর ও জেলা শহরে হেঁটে প্রদক্ষিণ করে গণস্বাক্ষর নেবেন তিনি। আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে তেঁতুলিয়ায় গিয়ে গণতন্ত্রের অভিযাত্রা (মার্চ ফর ডেমোক্রেসি) শেষ করবেন তিনি।

১৯৯৯ সালে নোয়াখালীর বুলুয়া ডিগ্রি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন মোহাম্মদ হানিফ। এরপর চট্টগ্রাম ওমর গণি এম এস কলেজে স্নাতকে ভর্তি হন। পরে তিনি লেখাপড়া ছেড়ে চট্টগ্রামের একটি প্রতিষ্ঠানে কমিশন এজেন্টের কাজ নেন।

Also Read: ৬৭০ কিলোমিটার হেঁটে হানিফ এখন বগুড়ায়