Thank you for trying Sticky AMP!!

ট্রেন রক্ষা করে পুরস্কার পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা

ট্রেন রক্ষাকারী শিশু–কিশোরেরা। প্রথম আলো

নওগাঁর রানীনগরে দুর্ঘটনার হাত থেকে ট্রেন রক্ষা করে সাহসিকতা ও বীরত্বের পুরস্কার পেতে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। ১১ নভেম্বর তাদের এ পুরস্কার দেওয়া হবে। সম্প্রতি উপজেলার বড়বড়িয়া এলাকায় রেললাইন ভাঙা দেখতে পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন শিক্ষার্থী ট্রেন থামানোর সংকেত দিলে ট্রেনটি থেমে যায়। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় ট্রেনের কয়েক শ যাত্রী।

রানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল-মামুন বলেন, ১ নভেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলার গোনা ইউনিয়নের বড়বড়িয়া এলাকায় প্রচণ্ড গরমের কারণে রেললাইনের একটি অংশ ভেঙে যায়। ওই এলাকার একদল শিক্ষার্থী সেই ভাঙা অংশ দেখতে পায়। তার একটু পরে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দিনাজপুরগামী আন্তনগর একতা এক্সপ্রেস ট্রেন ঘটনাস্থল অতিক্রম করার আগেই মুঠোফোন সেটের আলো জ্বালিয়ে, পরিহিত জামা, গামছা, গেঞ্জিসহ যার কাছে যা ছিল তা বাঁশের কঞ্চিতে বেঁধে সংকেত দিয়ে ট্রেনটি থামায়। তাদের এই তাৎক্ষণিক বুদ্ধির কারণে ট্রেনে থাকা যাত্রীরা বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তদন্ত করে ওই শিক্ষার্থীদের তালিকা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা হলো উপজেলার পশ্চিম গোবিন্দপুর (বড়বড়িয়া) গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে বাঁধন (২১), সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাইম ইসলাম, বাবুর আলীর ছেলে আরিফ (২১), সাইফুল ইসলামের ছেলে রাকিব খান (২০), বড়বড়িয়া গ্রামের হাফিজুর ইসলামের ছেলে হিমেল (১১), গোবিন্দপুর (সাতানী) গ্রামের উজ্জ্বল হালদারের ছেলে অন্তর (১১), ধীরেশ চন্দ্র হালদারের ছেলে বিপ্লব (১৩) এবং মামুন হোসেনের ছেলে ইব্রাহীম (১১)।

এ নিয়ে ৩ নভেম্বর ‘বালকদের বুদ্ধিমত্তায় রক্ষা পেল কয়েক শ ট্রেনযাত্রী’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়। ১১ নভেম্বর জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বীরত্বপূর্ণ কাজের জন্য তাদের পুরস্কার ও সনদ দেওয়া হবে।