Thank you for trying Sticky AMP!!

ঠাকুরগাঁওয়ের পাঁচজন করোনায় আক্রান্ত নন

ঠাকুরগাঁও

জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি হওয়া একই পরিবারের পাঁচজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন। আজ মঙ্গলবার সকালে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জন মো. মাহফুজার রহমান সরকার।

সিভিল সার্জন আরও বলেন, ওই পাঁচজনের শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। এরপরও তাঁদের আরও দু–এক দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এর আগে গত শনিবার রাতে তাঁদের ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতাল থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়। গত রোববার আইইডিসিআরের প্রতিনিধি এসে ওই পাঁচজনের শরীরে করোনাভাইরাস আছে কি না, তা পরীক্ষা করার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় নিয়ে যান।

জেলা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২১ মার্চ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের এক বাসিন্দা (৩০) জ্বর নিয়ে ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে আসেন। বাড়িতে আসার পর তাঁর জ্বরের তীব্রতা বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে শুরু হয় পাতলা পায়খানা। খাওয়ার স্যালাইন খেয়ে পাতলা পায়খানা কমলেও শ্বাসকষ্ট ও শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। পরে তাঁর স্ত্রী (২৪) এবং শিশুসন্তানও জ্বরে আক্রান্ত হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রামবাসী তাঁদের বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এতে ওই পরিবারটি কোনো ধরনের চিকিৎসাসেবাও নিতে পারেননি। এ অবস্থায় সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হন ওই ব্যক্তির ছোট ভাই ও তাঁর স্ত্রী। স্থানীয় লোকজনেরে কাছ থেকে খবর পেয়ে জেলা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গত শনিবার তাঁদের বাড়ি থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

জেলা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার বিকেলে অসুস্থ পাঁচজনকে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি করার পর ঢাকা থেকে আসা ব্যক্তির শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায়। এ কারণে আইইডিসিআরের পরামর্শে রাতেই তাঁদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে থেকে গত রোববার একই পরিবারের পাঁচজনের কফ ও লালা পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করে আইইডিসিআরের প্রতিনিধিদল নিয়ে যায়। পরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাঁদের আবার ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ফেরত পাঠানো হয়। আজ মঙ্গলবার আইইডিসিআর থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঠাকুরগাঁওয়ের ওই পাঁচজনের নমুনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে।