Thank you for trying Sticky AMP!!

ঠাকুরগাঁওয়ে আজও আন্তজেলার বাস চলছে না

ঠাকুরগাঁওয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো আন্তজেলার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, ঠাকুরগাঁও, ২৩ নভেম্বর। ছবি: প্রথম আলো

নতুন সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনসহ বিভিন্ন দাবিতে চলমান শ্রমিক আন্দোলন প্রত্যাহার হলেও আজ শনিবারও ঠাকুরগাঁও থেকে আন্তজেলার বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন শ্রমিকেরা। সকাল থেকে পঞ্চগড়, দিনাজপুর, রংপুর, গাইবান্ধাসহ আন্তজেলার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি।

তবে আন্তজেলা বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও জেলার অভ্যন্তরীণ সড়ক পথের সব বাস নিয়মিত চলাচল করছে। ছেড়ে গেছে ঢাকাসহ দূরপাল্লার সব বাস।

আন্তজেলা বাস চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সাধারণ যাত্রীরা। এ সময় উপস্থিত অনেক যাত্রী বিরক্তি প্রকাশ করেন। কোনো উপায় না পেয়ে তাঁরা বিকল্প পথে গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এতে তাঁদের অর্থ ও সময় ব্যয় হচ্ছে কয়েক গুণ।

ঠাকুরগাঁও রোড রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাসহ অন্যান্য গন্তব্যে চলাচলকারী ট্রেনগুলোতেও যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। আসন না পেয়ে দীর্ঘপথের উদ্দেশে দাঁড়িয়েই রওনা হয়েছেন অনেক যাত্রী।

জানতে চাইলে জেলা মোটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের আহ্বায়ক আবদুল গফুর বলেন, ‘সম্প্রতি সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ বিষয়ে সচেতনতা কর্মসূচি অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ও পুলিশ প্রশাসন প্রচারপত্র বিতরণ করে। এই প্রচারপত্রে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে নানা শাস্তির কথা উল্লেখ করা হয়। এ প্রচারপত্র বিতরণে শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। এ আতঙ্ক থেকেই শ্রমিকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বাস চলাচল বন্ধ করে দেন। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন থেকে বাস চলাচল বন্ধ রাখার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি। আমরাও বাস চালু বা বন্ধ রাখার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি।’

জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি হায়দার আলী বলেন, নতুন পরিবহন আইন নিয়ে অসন্তোষের কারণে শ্রমিকেরা নিজেরাই বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন। এখানে মালিকদের কোনো হাত নেই।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক কে এম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাদের বৈঠক রয়েছে। আলোচনা সফল হলে বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাবে।