Thank you for trying Sticky AMP!!

ঠাকুরগাঁওয়ে আজ সর্বোচ্চ ১৭ জনের করোনা শনাক্ত

করোনাভাইরাস পরীক্ষা

ঠাকুরগাঁও জেলায় গতকাল বুধবার ১৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এটিই চলতি বছরে এক দিনে জেলায় সর্বোচ্চ করোনাভাইরাস শনাক্তের ঘটনা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সিভিল সার্জন মাহফুজার রহমান সরকার এ তথ্য জানিয়েছেন।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৭ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ছয়জন, পীরগঞ্জে দুজন, রানীশংকৈলে তিনজন, বালিয়াডাঙ্গীতে চারজন ও হরিপুর উপজেলায় দুজন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে আক্রান্তের হার ৪১ দশমিক ৪১ শতাংশ।

স্বাস্থ্য বিভাগের সূত্রমতে, গত বছর ১১ এপ্রিল ঠাকুরগাঁওয়ে করোনায় সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হন। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে জেলায় এ পর্যন্ত ৯ হাজার ৮০২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এসব নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ৭০৫ জনের মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৬ জন। আর আক্রান্তের পর সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন ১ হাজার ৫৭০ জন।

জেলার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সাবেক সিভিল সার্জন আবদুল মমিন বলছেন, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সবাইকে মাস্ক পরতেই হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতা এবং সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সবাইকে এলাকাভিত্তিক ক্যাম্পেইন করতে হবে। মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধির প্রতি উদাসীনতা যত বাড়বে, সংক্রমণের হার তত বেড়ে যাবে। সংক্রমণের নিম্নহার ধরে রাখতে হলে স্বাস্থ্যবিধির কঠোর প্রয়োগের পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় পাহারা জোরদার করতে হবে।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ঠাকুরগাঁও ৫০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ মাকসুদ বলছেন, সীমান্তের যেসব জায়গা ঝুঁকিপূর্ণ, সেখানে পাহারা নিবিড়ভাবে করা হচ্ছে, যাতে সীমান্ত এলাকায় লোকজন যাতায়াত করতে না পারেন।

এ অবস্থায় সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জন মাহফুজার রহমান সরকার বলেন, জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ওঠানামা করছে। কোনো সপ্তাহে বাড়ছে, আবার কখনো কমছে। সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোতে সংক্রমণ বাড়ার পেছনে ভারতীয় ধরনের (ভেরিয়েন্ট) কোনো যুক্ততা আছে কি না এবং আক্রান্ত ব্যক্তিদের সম্প্রতি ভারত সফরের ইতিহাস আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।