Thank you for trying Sticky AMP!!

ঠাকুরগাঁওয়ে গোপন বৈঠক থেকে জেএমবির দুই সদস্য গ্রেপ্তার

ঠাকুরগাঁওয়ে গ্রেপ্তার জেএমবির সামরিক বিভাগের সদস্য মো. হযরত আলী ও মো. আব্দুল কাফি

ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলা থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সামরিক বিভাগের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার ভোরে রানীশংকৈল উপজেলার ভরনিয়া শিকনাথপুকুর গ্রামের ভরনিয়া ডিসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গোপন বৈঠক চলাকালে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ কামাল হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার নলেয়া ব্যাপারী মোড়ের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে মো. হযরত আলী (২১) এবং রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার মৌভাষা জুম্মাপাড়া গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে মো. আব্দুল কাফি (২৭)।

দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ ভোরে ভরনিয়া ডিসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পুরোনো জেএমবির কয়েকজন সদস্য গোপন বৈঠক করছেন বলে জানতে পারে পুলিশ। পরে ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে রানীশংকৈল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তোফাজ্জল হোসেনের তত্ত্বাবধানে রানীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে ওই বিদ্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। এ সময় পুলিশ হযরত আলী ও আব্দুল কাফিকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার দুজন দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সদস্য বাছাই, বিভিন্ন উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহের মাধ্যমে দলীয় শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি সংগঠনের পরিকল্পনা গ্রহণ, বাস্তবায়ন করে দেশের আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটানোসহ রাষ্ট্রের ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে ওই গোপন বৈঠক করছিলেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গ্রেপ্তার হওয়া দুজনই নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সামরিক বিভাগের (ইছাবা) সদস্য। তাঁরা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সদস্য বাছাই, বিভিন্ন উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহের মাধ্যমে দলীয় শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি সংগঠনের পরিকল্পনা গ্রহণ, বাস্তবায়ন করে দেশের আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটানোসহ রাষ্ট্রের ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে ওই গোপন বৈঠক করছিলেন বলে তাঁরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।

গ্রেপ্তার জেএমবির সামরিক বিভাগের ওই দুই সদস্যকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ কামাল হোসেন।

গত ১৩ মার্চ কার্যক্রম পরিচালনা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য রানীশংকৈল উপজেলার চেংমারী সম্পদবাড়ি গ্রামে পুরোনো জেএমবির ঠাকুরগাঁও জেলার সামরিক শাখার প্রধান এমদাদুল হকের বাড়িতে গোপন বৈঠকে মিলিত হন সদস্যরা। পুলিশের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। এ সময় পুলিশ এমদাদুল হক ও রানীশংকৈল উপজেলার সামরিক শাখার প্রধান শহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।

পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরের দিন সকালে একই উপজেলার পদমপুর উমরা ডাঙ্গী গ্রামের মো. সাদ্দামের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। ওই বাড়ি থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল ও একটি একনলা বন্দুক, তিনটি ম্যাগাজিন ও পাঁচটি পিস্তলের গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় রানীশংকৈল থানায় সন্ত্রাসবিরোধী ও অস্ত্র আইনে দুটি মামলা করা হয়। মো. হযরত আলী ও মো. আব্দুল কাফি ওই দুই মামলার পলাতক আসামি।