Thank you for trying Sticky AMP!!

ডাকাতি প্রতিরোধে রাতে পাহারা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় লোকজনের মধ্যে ডাকাতির আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ডাকাতি ও চুরি প্রতিরোধে আখাউড়া পৌরসভা ও উত্তর ইউনিয়নের লোকজন রাত জেগে পাহারা দেওয়া শুরু করেছেন।

আখাউড়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. তাজুল ইসলাম বলেন, চুরি-ডাকাতির ভয়ে এলাকার যুবকেরা রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। রাত ১১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত পাহারা চলে। ৫০-৬০ জন যুবক ৫-৬টি দলে ভাগ হয়ে পাহারা দেন। যত দিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হবে, তত দিন পাহারা চলবে।

গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, এক সপ্তাহ আগে পৌরসভার দুর্গাপুর এলাকার মো. নূর মিয়ার বাড়ি ও এর এক দিন আগে উত্তর ইউনিয়নের চানপুর গ্রামে জলিল মিয়ার বাড়িতে ডাকাতি হয়। ডাকাতেরা কলাপসিবল গেটের তালা এবং ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে। তারা অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মুঠোফোনসহ প্রায় ১৪ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। তা ছাড়া প্রতি রাতে ইউনিয়নের কোনো না কোনো স্থানে ডাকাতেরা হানা দিচ্ছে। এ কারণে গ্রামের মধ্যে ডাকাতি আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বাধ্য হয়ে জানমাল রক্ষায় লোকজন চুরি, ডাকাতি রোধের লক্ষ্যে সভা করে। সেখানে সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রতি রাতে দল বেঁধে পাহারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

উত্তর ইউনিয়নের আজমপুর, চানপুর, আমোদাবাদ, রামধন নগর ও পৌর শহরের দুর্গাপুর, চানপুর এলাকার লোকজন বলেন, চুরি-ডাকাতি রোধে পাহারা দেওয়ার কাজে ছাত্র, যুবক, ব্যবসায়ী, শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার লোকজন আসছেন। তাঁরা দলে দলে বিভক্ত হয়ে লাঠি, বাঁশি নিয়ে পাহারা দিচ্ছেন। প্রতিটি দলে থাকছেন ১০-১২ জন সদস্য। রাত ১১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত চলছে পাহারা দেওয়ার কাজ। সবাই এক এক করে আসতে শুরু করেন। পরে গ্রামের প্রবেশপথসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে শুরু হয় পাহারা। গ্রামের ভেতরে অপরিচিত কাউকে দেখলে তাঁকে ঘিরে ফেলেন পাহারাদারেরা। শুরু হয় প্রশ্ন। অপরিচিত হলে লিখে রাখা হয় নাম ও ঠিকানা।

আখাউড়া উত্তর ইউপির চেয়ারম্যান আবদুল হান্নান ভূঁইয়া বলেন, বিষয়টি নিয়ে বৈঠক হয়েছে। সেখানে রাত জেগে পাহারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। স্থানীয় প্রশাসনকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।

আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রসুল আহমেদ নিজামী বলেন, তিনি মাত্র সপ্তাহখানেক আগে আখাউড়ায় যোগ দিয়েছেন। চুরি-ডাকাতি, মাদক, চোরাচালান প্রতিরোধে এলাকার জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি সভা করেছেন। তা ছাড়া চুরি-ডাকাতি রোধে পুলিশ রাতে দায়িত্ব পালন করছে।