Thank you for trying Sticky AMP!!

ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ রুটে ট্রেন চালু

প্রতীকী ছবি

রেলপথে কৃষিপণ্য পরিবহনকে গুরুত্ব দিয়ে তিনটি পার্সেল ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। তবে এর মধ্যে একটি ট্রেন ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ হয়ে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ পর্যন্ত চালু হয়েছে। মে মাসের প্রথম দিন থেকেই ট্রেনটি চালু হয়েছে। অন্য দুটি ট্রেন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ও খুলনা রুটে চলবে।

আজ শুক্রবারে প্রথম দিনেই যথারীতি ঢাকা থেকে ছেড়ে দেওয়ানগঞ্জে পৌঁছেছে এই পণ্যবাহী ট্রেন। আবার সন্ধ্যায় দেওয়ানগঞ্জ ছেড়ে মধ্যরাতে ঢাকায় পৌঁছাবে ট্রেনটি।

তবে পর্যাপ্ত প্রচারণার অভাবে ট্রেনে পণ্য পরিবহনের পর্যাপ্ত সুবিধা গ্রহণ করতে পারেননি কৃষক, পাইকার ও অন্য ব্যবসায়ীরা। অনেকটা হঠাৎ করে ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে সূত্র। কোনো ধরনের প্রচারণা ছাড়াই এভাবে ট্রেন চালুর ফলে আশানুরূপ সাড়া মিলবে না বলে মত দেন রেলওয়েতে কর্মরত কয়েকজন ব্যক্তি। তাই ট্রেনে পণ্য পরিবহনকে জনপ্রিয় করতে ব্যাপক প্রচারণার পক্ষে মত দেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

মাঠপর্যায়ের কৃষক ও বাজারগুলোর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তাঁরা এ সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন।

ময়মনসিংহ রেলস্টেশন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জ রুটে চালু হওয়া এই পার্সেল ট্রেনটি প্রতিদিন সকাল ৮টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে ময়মনসিংহে পৌঁছাবে বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে। ১০ মিনিট যাত্রাবিরতি করে ট্রেনটি আবার দেওয়ানগঞ্জ অভিমুখে ছেড়ে যাবে। ঠিক একইভাবে সন্ধ্যা সাতটা থেকে ফিরতি ট্রেনটি দেওয়ানগঞ্জ ছেড়ে রাত ১০টা ২৫ মিনিটে ময়মনসিংহ আসবে এবং ১৫ মিনিট যাত্রাবিরতি করে ১০টা ৪০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। ট্রেন পরিচালকের ১টি বগি ও অন্য ৫টি পণ্যবাহী বগিসহ (লাগেজ ভ্যান) মোট ৬টি বগি নিয়ে প্রতিদিন চলাচল করবে এই ট্রেন।

এ ব্যাপারে কাছে জানতে চাইলে ময়মনসিংহ স্টেশন সুপার জহুরুল ইসলাম বলেন, গত বুধবার নির্দেশনা পাওয়ার পর দ্রুত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রচারণার ঘাটতি রয়েছে স্বীকার করে তিনি বলেন, এ জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানানো হয়েছে। শুরুর দিকে পণ্য পরিবহনে প্রত্যাশানুযায়ী সাড়া না পেলেও ধীরে ধীরে ট্রেনে পণ্য পরিবহন বৃদ্ধি পাবে।

আলাদা একটি পণ্যবাহী ট্রেন চালু করায় কৃষক, পাইকার, ব্যবসায়ীদের জন্য ইতিবাচক উল্লেখ করে ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সহসভাপতি শঙ্কর সাহা বলেন, এতে ময়মনসিংহ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রবৃদ্ধি ঘটবে। তবে মাঠপর্যায়ে ও হাটবাজারগুলোয় বেশি করে প্রচারণা চালানো প্রয়োজন এবং এই ট্রেনে পণ্য পরিবহনের জন্য মাত্র ৫টি বগি খুবই অপ্রতুল বলে মনে করেন তিনি। ভবিষ্যতে ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটেও এ ধরনের একটি পণ্যবাহী ট্রেন চালুর দাবি জানান তিনি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবদুল মাজেদ রেল কর্তৃপক্ষের এ ধরনের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, এতে মাঠের কৃষকেরা উপকৃত হবেন। তাঁরা তাঁদের পণ্য পাইকারদের মাধ্যমে সরাসরি ঢাকায় সরবরাহ করতে পারবে। এই ট্রেন চালু সম্পর্কে কৃষকেরা যেন জানতে পারে, সে জন্য চলতি সপ্তাহেই কৃষি বিভাগের লোকজনের মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হবে।