Thank you for trying Sticky AMP!!

ঢাকা মেডিকেলের ফুটপাত হকারদের দখলে

ঢাকা মেডিকেল

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনের সড়ক ও ফুটপাত অবৈধভাবে দখল করে ফের দোকানপাট বসছে। এই হাসপাতালের নতুন ভবনের সামনের (চানখাঁরপুল) ফুটপাতটিও হকারদের দখলে চলে গেছে। এতে ফুটপাত ছেড়ে সড়কের পাশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন পথচারীরা।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীদের অভিযোগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দিনে হাজারো রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা আসা-যাওয়া করেন। কিন্তু তাঁরা হাসপাতালের সামনের ফুটপাতেই নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারেন না। রোগীসহ পথচারীদের ঝুঁকি নিয়ে সড়কের পাশ ঘেঁষে চলাচল করতে হয়। অথচ ফুটপাত থেকে অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
গত শুক্রবার দেখা যায়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনের সড়ক ও ফুটপাত দখল করে শতাধিক অস্থায়ী দোকান গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে চা-পান ও ভাতের দোকান সংখ্যাই বেশি। এসব দোকানে বসে খাবার খাচ্ছেন লোকজন। দোকানের ময়লা-আবর্জনা ছড়িয়ে পড়েছে সড়কের ওপরে। দোকানপাটের কারণে হাসপাতালের ঐতিহাসিক আমতলা ফটকটিও আড়ালে পড়ে গেছে। অন্যদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন ভবনের প্রধান ফটকের (দক্ষিণ) সামনের ফুটপাত ও সড়কেও অর্ধশতাধিক অস্থায়ী দোকানপাট গড়ে উঠেছে। এসব দোকানের কারণে ফুটপাত দিয়ে পথচারীদের হাঁটাচলা করার উপায় নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনের দোকান থেকে প্রতিদিন গড়ে ৩০০ টাকা করে চাঁদা তোলেন লাইনম্যান ওসমান গনি নামের এক ব্যক্তি। শুক্রবার বিকেলে ওসমান গনি প্রথম আলোকে বলেন, পারিশ্রমিক বাবদ ১ হাজার টাকা পান। বাকি টাকা তিনি হাসপাতালের কিছু কর্মচারীকে দেন। তবে হাসপাতালে কর্মচারীদের বিস্তারিত পরিচয় দিতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। এই হাসপাতালের চানখাঁরপুল অংশের চাঁদা তোলেন মো. রফিক। দুই পাশের অবৈধ দোকান থেকে প্রতিদিন প্রায় ২৫ হাজার টাকার মতো চাঁদা ওঠে বলে জানা গেছে।
চানখাঁরপুলের নাজিমউদ্দিন রোডের বাসিন্দা আবদুল আউয়াল বলেন, ‘রাজধানীর সবচেয়ে ঘিঞ্জি এলাকা গুলিস্তান, পল্টন, বায়তুল মোকাররম ও মতিঝিলের আশপাশের হকারদের উচ্ছেদ করেছে ডিএসসিসি। এখন পর্যন্ত এই এলাকায় আর হকার বসতে পারেনি। অথচ ঢাকা মেডিকেলের ফুটপাত এখনো হকারদের দখলে।’ এই এলাকার চারপাশের সড়ক ও ফুটপাত থেকে হকারদের উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা খন্দকার মিল্লাতুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, উচ্ছেদে শিগগিরই ডিএসসিসির সম্পত্তি বিভাগে চিঠি দেওয়া হবে। গুলিস্তানের মতো এই এলাকায় হকারমুক্ত করা হবে।