Thank you for trying Sticky AMP!!

ঢাকা-১০ উপনির্বাচনে এক কেন্দ্রে দেড় ঘণ্টায় ১ ভোট

ধানমন্ডি সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে দেড় ঘণ্টায় ১টি ভোট পড়েছে। ছবি: প্রথম আলো

ঢাকা-১০ শূন্য আসনের উপনির্বাচনে ভোট শুরু হয়েছে। সকাল নয়টায় ভোট নেওয়া শুরু হয়। গাইবান্ধা-৩ এবং বাগেরহাট-৪ আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে। কোনো বিরতি ছাড়াই সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট চলবে। নির্বাচন কমিশন ঢাকা-১০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করবে। অপর দুই আসনে ব্যালট পেপার ব্যবহার করা হবে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে এই নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা চলে। তা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন তা স্থগিত করেনি। ধানমন্ডি সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে দেড় ঘণ্টায় ১টি ভোট পড়েছে। পোলিং অফিসার কিশোয়ার সুলতানা জানান, ‘ভোটার নেই, অপেক্ষা করছি।’

ধানমন্ডির কাকলী উচ্চবিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজে প্রথম আধা ঘণ্টায় ১০টি ভোটও পড়েনি। এই কেন্দ্রের বুথগুলোয় হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও টিস্যু সকালে এনে রাখলেও ব্যবহৃত টিস্যু ফেলার ঝুড়ি আনা হয় আধা ঘণ্টা পর।

এক ভোটারকে ভোট দেওয়ার আগে স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে বলা হয়। তবে ভোট দেওয়া শেষ হলে পুনরায় আর তা বলা হয়নি। এ ব্যাপারে নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা একজন বলেন, ভোট দেওয়ার আগে ব্যবহার করার নির্দেশনা তাঁরা জানেন।

কাকলী উচ্চবিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ ও রায়েরবাজারে প্রগতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায়, ভোটার যে কয়েকজন আছেন, তাঁরাও দলীয় লোকজনই। নৌকা প্রতীকের এজেন্টের উপস্থিতি বেশি। এই দুই কেন্দ্রে ধানের শীষের দুজন এজেন্ট চোখে পড়ে।

এক কেন্দ্রে ঘণ্টায় ২ ভোট: ঢাকা ১০ আসনের উপনির্বাচনে ধানমন্ডির ড. মালিকা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ১ নম্বর কেন্দ্রে প্রতি ঘণ্টায় মাত্র দুইটি করে ভোট পড়ছে। এ কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ৩৭৯ জন। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কেন্দ্রের ৬ টি বুথে ভোট পড়েছে মাত্র ৩৯ টি।

এর মধ্যে সকাল ৯ টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দুই নম্বর বুথে ভোট পড়েছে ১০টি। এই বুথে ভোটার সংখ্যা ৩৯৫ জন। তিন নম্বর কক্ষে ভোটার সংখ্যা ৩৯৫ জন, ভোট দিয়েছেন মাত্র ৯ জন। ৪ নম্বর কক্ষে ভোটার সংখ্যা ৩৯৫ জন, ভোট দিয়েছেন মাত্র ৭জন।

ডক্টর মালিকা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার হাসিনুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সকাল থেকে ভোটার উপস্থিতি একেবারেই কম। প্রতি ঘণ্টায় গড়ে দুজন করে ভোট দিচ্ছেন। ভোটারের উপস্থিতি কম থাকার কারণ, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এর কথা উল্লেখ করেছেন।

গত ২৯ ডিসেম্বর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ফজলে নূর তাপস পদত্যাগ করলে ঢাকা-১০ নির্বাচনী আসন শূন্য হয়।