Thank you for trying Sticky AMP!!

তারাব পৌর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন সেই কাউন্সিলর প্রার্থী

পৌরসভা নির্বাচন

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন কাউন্সিলর প্রার্থী রুহুল আমিন। গত মঙ্গলবার এই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর আনোয়ার হোসেন নামের অপর এক প্রার্থীর সমর্থকেরা হামলা করেছিলেন বলে তিনি অভিযোগ করেছিলেন।

সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে রুহুল আমিন মুঠোফোনে প্রথম আলাকে বলেন, ‘পারিপার্শ্বিক বাস্তবতা ও সংগঠনের সিদ্ধান্ত মেনে নিজেকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে নিয়েছি।’ পারিপার্শ্বিক বাস্তবতার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত তাঁর অন্তত শতাধিক নেতা–কর্মী আহত অবস্থায় আছেন। নেতা-কর্মীদের হুমকি-ধমকি ও মারধর কোনোভাবেই কমছিল না। তাঁদের নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ। তা ছাড়া তিনি একটি সংগঠন করেন, সংগঠনের সিদ্ধান্ত মেনেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে নির্বাচন থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীকে নিজের রাজনৈতিক অভিভাবক পরিচয় দিয়ে রুহুল আমিন তাঁর স্ট্যাটাসে লেখেন, গোলাম দস্তগীর গাজীর নির্দেশেই নিজেকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে নিচ্ছেন। এই সিদ্ধান্তের জন্য নিজের সমর্থক ও ভোটারদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তিনি।

রুহুল আমিন তারাব পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এই পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে উটপাখি প্রতীক নিয়ে তিনি নির্বাচনের মাঠে ছিলেন। একই ওয়ার্ডে ডালিম প্রতীক নিয়ে সদ্য সাবেক কাউন্সিলর ও তারাব পৌর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনও নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন। প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার এই দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছিল। আনোয়ার হোসেনের পাশাপাশি পাঞ্জাবি প্রতীক নিয়ে মো. জুনায়েদ ও ব্ল্যাকবোর্ড প্রতীক নিয়ে শফিউদ্দিন প্রধান বর্তমানে নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন।