Thank you for trying Sticky AMP!!

তিনজন আক্রান্ত, বন্ধ বহির্বিভাগ

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বর্হিবিভাগের কার্যক্রম শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার এখানকার দুজনের ও সোমবার অপর একজনের শরীরে করোনভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্তের পরে এ পদক্ষেপ নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) নাজমুল হুসাইন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কয়েকজনের নমুনা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল। নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন শুক্রবার বিকেলে তাঁদের হাতে পৌঁছায়। এতে দেখা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন নার্স (২৫) এবং একজন নারী কর্মচারী (৩৫) করোনায় আক্রান্ত। নার্সকে এই হাসপাতালেই এবং নারী কর্মচারীকে নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।এর আগে গত সোমবার এখানকার একজন ইপিআই টেকনেশিয়ানের নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন করোনা ‌'পজিটিভ' আসে। হাসপাতালের তিনজন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বহির্বিভাগের কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে তবে জরুরি বিভাগের সেবা কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।

হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, করোনায় আক্রান্ত ওই নারী কর্মচারী এখানে আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত। তিনি হাসপাতালে আসা রোগীদের মধ্যে টিকিট বিক্রি করেন। তাঁর শরীরে করোনা ধরা পড়ায় হাসপাতালে সেবা নিতে আসা টিকিট গ্রহণকারীদের কেউ আক্রান্ত হতে পারেন বলে আশঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কিছুটা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

আরএমও নাজমুল হুসাইন বলেন, করোনার বিস্তারের ঝুঁকি এড়াতে হাসপাতালের বর্হিবিভাগে রোগী দেখা আপাতত বন্ধ রয়েছে। তবে জরুরি বিভাগ খোলা রয়েছে। সেখানে সেবা অব্যাহত থাকবে। আর হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের দ্বায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। একেকজন ৬-৭ দিন হাসপাতালে টানা দায়িত্ব পালন করবেন। এরপর ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টিনে থাকবেন।