Thank you for trying Sticky AMP!!

তিন বেলার খাবার ‘এক প্যাকেজে’

ঝালকাঠি জেলার মানচিত্র

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে করোনা রোগীদের খাবার দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। একজন রোগীর জন্য তিন বেলা খাবারের জন্য ৩০০ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। তবে ঠিকাদার কেবল ‘একটি প্যাকেজে’ সকালে খাবার সরবরাহ করছেন। রোগীরা বলছেন, এই প্যাকেজে বাজারমূল্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১২৫ টাকার খাবার দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন রোগী ও স্বজনেরা।

সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সদর হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীদের সকালের নাশতা, দুপুরে ও রাতের খাবার বাবদ ৩০০ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। সকালের নাশতায় থাকবে দুটি

ডিম, রুটি, দুধ, আপেল ও মাল্টা। দুপুরে ও রাতে থাকবে মাছ, মাংস, সবজি ও ডাল। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ জন রোগী ভর্তি থাকে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঠিকাদার রোগীদের জন্য দুপুরে ও রাতের খাবার দিচ্ছেন না। এর পরিবর্তে সকালে তিনটি পাউরুটি, পাঁচটি ডিম, দুটি সাগর কলা, দুটি আপেল ও একটি মাল্টা সরবরাহ করছেন। ঠিকাদারের দাবি, রোগীরা দুপুরে ও রাতে খাবার খেতে চান না। তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মৌখিক অনুমতি নিয়ে সকালে একবারে তাঁদের ফলসহ নাশতা দেওয়া হচ্ছে।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গিয়ে দেখা যায়, রোগীদের খাবারের প্যাকেট দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ টাকা দামের তিনটি পাউরুটি, ৪০ টাকা দামের পাঁচটি ডিম, ১০ টাকা দামের দুটি সাগর কলা, ৩০ টাকা দামের দুটি আপেল ও ২৫ টাকা দামের একটি মাল্টা রয়েছে।

কয়েকজন রোগীর স্বজনের অভিযোগ, তাঁদের আপেল ও মাল্টা ছাড়া খাবার দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে হাসপাতালের খাদ্য সরবরাহকারী ঠিকাদার সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘চুক্তি অনুযায়ী সব ধরনের খাবার, ফলমূল ও খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে। ৩০০ টাকায় শতকরা ১১ টাকা হারে ৩৩ টাকা ভ্যাট দিতে হয়। তারপরে আমার ১০ ভাগ

লাভ রাখতে হয়। এর মধ্যেই ভালো খাবার দেওয়ার চেষ্টা করছি।’

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা শরিফ ইকবাল বলেন, ‘রোগীদের কম মূল্যের খাবার দেওয়ার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। নিয়ম অনুযায়ী ফলমূল ও দুধ, হরলিকসসহ ভালো মানের খাবার দিতে হবে। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ঠিকাদার এক বেলা খাবার দিচ্ছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।