Thank you for trying Sticky AMP!!

থানার চত্বরে শুকানো হচ্ছে ধান

বিরোধপূর্ণ জমির ধান শুকানো হচ্ছে নান্দাইল মডেল থানা চত্বরে। রোববার ময়মনসিংহের নান্দাইল মডেল থানায়

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় বিরোধপূর্ণ ৭০ শতক জমি থেকে ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগে মামলা করেছে একপক্ষ। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৭ বস্তা ধান উদ্ধার ও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আদালত থেকে ধানের মালিকানা বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসার আগেই মামলার বাদীপক্ষ থানা চত্বরে কাঁচা ধান শুকিয়ে নিচ্ছেন। আসামিপক্ষের দাবি, ওই জমি তারা সরকার থেকে ইজারা এনে চাষাবাদ করছে। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।

রোববার দুপুরে থানায় গিয়ে বাদীপক্ষের তিন ব্যক্তিকে থানা চত্বরে ধান শুকানোর কাজ করতে দেখা গেছে। বিরোধপূর্ণ ওই জমি নান্দাইল পৌরসভার পাছপাড়া মহল্লায় অবস্থিত। জমির পরিমাণ ৭০ শতক। একই মহল্লার মো. এনামুল হক ওরফে হেকিম ও আবদুল আউয়াল জমিটি নিজেদের বলে দাবি করছেন। এনামুলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করায় শনিবার এলাকায় গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে তাঁর স্ত্রী মোছা. নুরুন্নাহার বলেন, ১৯৯৪ সালে তাঁর স্বামী সরকারের কাছ থেকে ৪০ শতক জমি বন্দোবস্ত (লিজ) এনে চাষাবাদ করছেন। নিয়মিত খাজনা (লিজ মানি) পরিশোধ করে আসছেন। এখন আউয়ালের লোকজন পুরো জমি নিজেদের দাবি করে তাঁদের বিরুদ্ধে ধান চুরির মামলা করে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করছেন। জমি তাঁদের হলে লিজ দাতার বিরুদ্ধে তাঁরা আদালতে যাচ্ছেন না কেন?

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, জমির ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগে আবদুল আউয়াল বাদী হয়ে শুক্রবার নান্দাইল মডেল থানায় মামলা করেন। পুলিশ এনামুল (৫৫) ও তাঁর ভাতিজা জিয়া রহমানকে (৪০) গ্রেপ্তার করে শনিবার আদালতে পাঠিয়েছে। বিতর্কিত জমিতে ধান বপন করেছেন এনামুলের পক্ষের লোকজন। ধান কেটেছেনও তাঁদের লোকজন।

বাদী আউয়ালের চাচাতো ভাই কবীর উদ্দিন বলেন, ‘বিআরএস জরিপে ৭০ শতক জমির পুরোটাই আমার দাদা মৃত মনির উদ্দিনের নামে রেকর্ড হয়েছে। ওই জমি সরকারি নয়। এনামুলের লোকজন লাঠির জোরে জমি দখল করে নিতে চাইছে।’
এ বিষয়ে এনামুলের স্ত্রী নুরুন্নাহার বলেন, এসব জমি জনৈক প্রমোদ মজুমদারের ছিল। তিনি ভারতে চলে চাওয়ায় তাঁর জমি অর্পিত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত হয়। তাঁর স্বামী সেই জমি সরকারের কাছ থেকে লিজ এনে চাষাবাদ করছেন। এ সময় লিজ মানি পরিশোধের রসিদও দেখান নুরুন্নাহার।

নান্দাইল মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, মামলার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে কাটা ধান উদ্ধার করা হয়েছে। শুনানির পর আদালতের সিদ্ধান্তে এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

থানা চত্বরে ধান শুকানো বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, কাঁচা ধান কেউ জিম্মায় রাখতে চাননি। রোদে না শুকালে ধান নষ্ট হয়ে যাবে। তাই লোকজনকে ডেকে এনে ধান শুকানো হচ্ছে।