Thank you for trying Sticky AMP!!

দিনাজপুরে দুজন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত

দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ভর্তি ডেঙ্গু রোগী। মঙ্গলবার সকালে

দিনাজপুরে দুজনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। তাদের একজন শিশু ও অন্যজন যুবক। তারা দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।

ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুর নাম মিম খাতুন (১২)। সে কাহারোল উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ঈশানপুর মোল্লাপাড়ার আবদুল্লাহ হকের মেয়ে। অপরজন ঢাকা থেকে আসা একজন যুবক, নাম সোহেল রানা (৩২)। তিনি নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়পুর গ্রামের তোজাম্মেল হকের ছেলে।

মিমকে প্রথমে কাহারোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছিল। ওই কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিউল আজম বলেন, গত শনিবার জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় মিম। পরে হাসপাতালে তার ডেঙ্গুর অ্যান্টিজেন পরীক্ষা এনএস-১ (নন–স্ট্রাকচারাল প্রোটিন-১) টেস্ট করলে ডেঙ্গু পজিটিভ আসে। হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য মিমকে এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুর নাম মিম খাতুন (১২)। সে কাহারোল উপজেলার আবদুল্লাহ হকের মেয়ে। অপরজন ঢাকা থেকে আসা একজন যুবক, নাম সোহেল রানা (৩২)।
ফগার মেশিনে মশার আবাসস্থল ধ্বংস করা হচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুরে দিনাজপুর শহরে কতোয়ালি থানা চত্বরে

এদিকে আক্রান্ত সোহেল রানা বলেন, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলে বাবুর্চির কাজ করতেন। করোনা মহামারি শুরু হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনের ফুটপাতে চা বিক্রি শুরু করেন। ৩ সেপ্টেম্বর জ্বর অনুভব করলে ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে খান। চার দিন পর ঢাকা থেকে নিজ জেলায় ফিরে আসেন। ৯ সেপ্টেম্বর দিনাজপুর পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করালে তাঁর ডেঙ্গু পজিটিভ আসে।

দিনাজপুর জেলা সিভিল সার্জন আবদুল কুদ্দুস বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্তদের জন্য এম আবদুর রহিম মেডিকেলে পৃথক ইউনিট চালু রাখা হয়েছে। আক্রান্ত দুজনই সুস্থ। তিনি বলেন, জেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ডেঙ্গু পরীক্ষার ১ হাজার ৪০০ কিট মজুত রয়েছে। তাদের নির্দেশনা দেওয়া আছে জ্বর নিয়ে চিকিৎসা নিতে এলেই তার এনএস-১ পরীক্ষা করা হবে।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শরিফুল ইসলাম বলেন, পৌরসভা ও স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। মশার আবাস্থল ধ্বংস করতে ফগার মেশিন স্প্রে করার কাজ চলমান রয়েছে। লিফলেট, ব্যানার, ফেস্টুনে প্রচার-প্রচারণাও চালানো হচ্ছে।