Thank you for trying Sticky AMP!!

দুই কিলোমিটারে চরম দুর্ভোগ

সড়কটির ধারণক্ষমতা ৮-১০ টন। কিন্তু এই সড়কে ৩৫-৪০ টন ওজনের মালবাহী ট্রাক চলাচল করে।

দেখে বোঝার উপায় নেই, এটি পাকা সড়ক। শুক্রবার দুপুরে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার মীর দেওহাটা এলাকায়

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের দেওহাটা-বহুরিয়া সড়কের পৌনে দুই কিলোমিটার ভেঙে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এতে এলাকাবাসীর চরম দুর্ভোগ হচ্ছে।

প্রায় পাঁচ বছর আগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সড়কটি সংস্কার করেছিল। সড়কটির ধারণক্ষমতা ৮-১০ টন। কিন্তু ৩৫-৪০ টন ওজনের মালবাহী ট্রাক চলাচল করে। এ কারণে পাকা রাস্তাটি দ্রুত নষ্ট হয়ে গেছে।

শুক্রবার সরেজমিনে দেখা গেছে, দেওহাটা থেকে মীর দেওহাটা পর্যন্ত পৌনে দুই কিলোমিটার সড়কজুড়ে বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দ। মীর দেওহাটা এলাকায় ভাঙা সেতুর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে ইট ও মাটিবোঝাই ভারী ট্রাক। কিছু স্থানে দেখে বোঝার উপায় নেই এটি পাকা সড়ক।

স্থানীয় লোকজন বলছেন, সড়কটি দিয়ে মির্জাপুরের বিভিন্ন এলাকার ঢাকার ধামরাই ও মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার লোকজন চলাচল করে। তা ছাড়া ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হলে বিকল্প হিসেবেও রাস্তাটি ব্যবহার হয়। রাস্তাটির দুরবস্থার জন্য দায়ী অন্তত ২৪টি ইটভাটাসহ বিভিন্ন কারখানার মালামালবাহী ভারী যানবাহন। সড়কটির দুরবস্থার কারণে এখন সবাই বিপাকে পড়ছেন।

মীর দেওহাটা গ্রামের ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী আন্না বেগম বলেন, ‘কয়েক দিন আগে অটোতে (ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা) বাড়ি থিক্যা দেওহাটা যাচ্ছিলাম। হঠাৎ তা উল্টিয়া পড়ে। আমিসহ কয়জন ব্যথাও পাইছিলাম। হের পর থিক্যা খুব দরকার না অইলে আর অটোতে উঠি না।’

ব্যবসায়ী আলম মোল্লা বলেন, ‘রাস্তা দিয়্যা গড়ে প্রতিদিন কমপক্ষে তিন হাজার বিভিন্ন ধরনের গাড়ি চলে। এর মধ্যে খোলার ইটের গাড়ি আর মাটির গাড়ি পর‌্যাই এক হাজার হইবো। র‌্যাত আটটার পর থিক্যা যে মাটির গাড়ি চলে একবারে সারার‌্যাত। দিন-র‌্যাতে ধুলার কারণে দোকান থাকা কষ্ট অয়্যা যায়। মাল মুইছা সারা পারি না। আমরা খুবই কষ্টে আছি।’

এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মুহাম্মদ আরিফুর রহমান বলেন, ধারণক্ষমতা ৮-১০ টন থাকলেও রাস্তাটিতে সর্বোচ্চ ১৫ টন ওজনের যানবাহন চললে সমস্যা ছিল না। কিন্তু এই সড়কে মাটিসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী ভারী যানবাহন চলে। ফলে সড়কটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সভায় আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কোনো লাভ হয় না। রাস্তাটি সংস্কারসহ প্রশস্তকরণের জন্য এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করা হবে।