Thank you for trying Sticky AMP!!

দুই দেশের আদালতে পি কে হালদারের বিচার হবে: দুদক কমিশনার

মাদারীপুরে বিতর্ক প্রতিযোগিতার পর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার মোজাম্মেল হক খান

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার মোজাম্মেল হক খান বলেছেন, অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকায় ভারত ও বাংলাদেশের আদালতে প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালাদার) বিচার হবে। ভারতে গ্রেপ্তার হওয়া পি কে হালাদারকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সর্বাত্মক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

আজ শুক্রবার সকালে মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা এলাকার ড. মোজাম্মেল হক খান কলেজে দুর্নীতিবিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা থেকে পি কে হালদারকে ১৪ মে গ্রেপ্তার করে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তারা পি কে হালদারের আরও পাঁচ সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করে। এর আগে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে পি কে হালদারের প্রাসাদসম বাড়িসহ অনেক সম্পদের সন্ধান পায় ইডি। কলকাতার নগর আদালত দুই দফায় ১৪ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। আজ শুক্রবার এই রিমান্ড শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

দুদক কমিশনার আরও বলেন, পি কে হালাদার বাংলাদেশের নাগরিক, দেশের অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত। অর্থ পাচার কর্মকাণ্ডের মহানায়ক। তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে ৩৫টি মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার পি কে হালাদারের সহযোগীরা অর্থ পাচারের বিষয়টি আদালতের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন। পিকে হালাদারকে দেশে ফিরিয়ে এনে আদালতের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারলে আরও অজানা তথ্য বেরিয়ে আসবে। এসব তথ্য মামলা নিষ্পত্তি করতে সহায়তা করবে।

Also Read: পি কে হালদার এবং পাঁচ সহযোগীর ১০ দিনের রিমান্ড চাইল ইডি

দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া দুদকের মূল কাজ উল্লেখ করে মোজাম্মেল হক খান বলেন, যখন কোনো অর্থ পাচারের অভিযোগ আসে, তখন এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নামের তালিকা করা হয়। সব সময়ে এ অপরাধীদের নামের তালিকা আপডেট করা হচ্ছে। যারা দেশের টাকা পাচার করছে এবং করেছে, তাদের নামের তালিকা করা হচ্ছে। এই টাকা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে এবং যেসব অপরাধী পালিয়ে দেশের বাইরে গেছে, তাদের ফিরিয়ে আনতে সর্বাত্মক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল, দুর্নীতি দমন কমিশনের ঢাকা বিভাগের পরিচালক মো. আক্তার হোসেন, ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশনের চেয়ারম্যান এ কে এম শোয়েব, মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক রহিমা খাতুন, মাদারীপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রীনিবাস দেবনাথ, দুর্নীতি দমন কমিশনের মাদারীপুরের উপপরিচালক আতিকুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাইনউদ্দিন প্রমুখ।

Also Read: দুদকের তথ্যের ভিত্তিতে পি কে হালদার ভারতে গ্রেপ্তার: মাসুদ বিন মোমেন

Also Read: পি কে হালদার বিষয়ে ভারতের সঙ্গে দুদকের যোগাযোগ হয়নি