Thank you for trying Sticky AMP!!

দুই পরিবারের ১৫ জনকে অজ্ঞান করে স্বর্ণালংকার ও টাকা লুট

দুই পরিবারের ১৫ জন সদস্যকে অজ্ঞান করে ২২ ভরি স্বর্ণালংকার ও প্রায় দুই লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌর সদরের তিন নম্বর ওয়ার্ডের কামারগ্রামে গতকাল সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে।

পুলিশ ও দুটি পরিবারের সদস্যদের সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যা থেকে কামারগ্রামের সাধন কুমার সাহা ও রূপকুমার সাহার পরিবারের সদস্যরা অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকেন। একপর্যায়ে ওই দুই পরিবারের সদস্যরা বাড়ির কলাপসিবল গেট লাগিয়ে যাঁর যাঁর কক্ষে অবস্থান করেন। রাতের খাবার না খেয়েই একপর্যায়ে দুই পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। গতকাল দিবাগত রাত তিনটার দিকে দুটি বাড়ির কলাপসিবল গেটের তালা ভেঙে দুর্বৃত্তরা সাধন সাহার ঘর থেকে ২০ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ দেড় লক্ষাধিক টাকা ও সাধন সাহার প্রতিবেশী রূপকুমার সাহার বাড়ি থেকে দুই ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ২৮ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

সোমবার রাত তিনটার দিকে হঠাৎ আমার ভাই সুমন্ত কুমারের ঘুম ভাঙলে সে আলমারিসহ সবকিছু এলোমেলো দেখে চিৎকার শুরু করে। এ সময় বাড়ির কলাপসিবল গেটের তালা ভাঙা ও ঘরে থাকা আলমারিগুলো ভাঙা অবস্থায় দেখতে পাই।
সাধন কুমার সাহা, গৃহকর্তা, বোয়ালমারী, ফরিদপুর

সাধন কুমার সাহা বলেন, ‘সোমবার রাত তিনটার দিকে হঠাৎ আমার ভাই সুমন্ত কুমারের ঘুম ভাঙলে সে আলমারিসহ সবকিছু এলোমেলো দেখে চিৎকার শুরু করে। এ সময় বাড়ির কলাপসিবল গেটের তালা ভাঙা ও ঘরে থাকা আলমারিগুলো ভাঙা অবস্থায় দেখতে পাই।’

সাধন কুমার সাহার প্রতিবেশী রূপকুমার সাহা বলেন, তাঁর ভাগনির জন্মদিন উদ্‌যাপন শেষে কীভাবে সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে, তা বোঝা যাচ্ছে না। সকালে ঘুম থেকে উঠে তাঁরা দেখেন ঘরের দরজা ভাঙা ও আলমারিতে থাকা স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নেই।
ভুক্তভোগীরা প্রাথমিকভাবে বাড়ি থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে কে বা কারা চেতনানাশক ওষুধ ছিটিয়েছে বা খাইয়েছে, সে ব্যাপারে কিছু জানতে পারেননি তাঁরা। এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার সকালে তামিম শেখ (২২) নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) মো. আনিসুজ্জামান আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, গতকাল দুপুরে খাওয়ার সময় খাবারের মধ্যে চেতনানাশক দ্রব্য মিশিয়ে দিয়েছিল দুর্বৃত্তরা। তিনি বলেন, খাবার পানির সঙ্গে কিংবা নলকূপেও এ চেতনানাশক দ্রব্য মিশানো হতে পারে। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

বোয়ালমারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল খায়ের জানান, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কামারগ্রামের তামিমকে আটক করা হয়েছে। অভিযান চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।