Thank you for trying Sticky AMP!!

দুজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, দুজন রিমান্ডে

প্রতীকী ছবি

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় এক তরুণীকে গণধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন দুই তরুণ শাহাদত হোসেন ও জাহাঙ্গীর মিয়া। এ ঘটনায় তাঁরা গতকাল শনিবার রাতে গোবিন্দগঞ্জ চৌকি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র তাঁদের জবানবন্দি গ্রহণ করে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অপর দুই তরুণ জাহিদ হাসান ও জহুরুল ইসলাম সরকারকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আজ রোববার গোবিন্দগঞ্জ চৌকি আদালতে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে আবেদন করে পুলিশ। পরে আদালত তাঁদের বিরুদ্ধে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সদরের চাষকপাড়ার শাহাদত হোসেন (২০), উপজেলা সদরের বোয়ালিয়া নয়াপাড়ার জাহাঙ্গীর মিয়া (৩৫), উপজেলা সদরের কসাইপাড়ার জাহিদ হাসান (২৭) ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ী নাচাই-কোচাই গ্রামের জহুরুল ইসলাম সরকার (২৬)।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মেহেদী হাসান জানান, শনিবার দুপুরে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণের আবেদনসহ ওই দুই তরুণকে আদালতে উপস্থিত করা হয়। স্বীকারোক্তি গ্রহণ শেষে বিচারক উভয়কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে তাঁদের গাইবান্ধা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

বিয়ের কথা বলে গোবিন্দগঞ্জের ওই তরুণীকে ডেকে এনে দুই দিন আটক রেখে পালাক্রমে একাধিকবার ধর্ষণ করেন তাঁর প্রেমিক ও তাঁর প্রেমিকের বন্ধুরা। এ অভিযোগে পুলিশ গত শুক্রবার ভোররাতে চারজনকে গ্রেপ্তার করে। শনিবার বিকেলে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে গাইবান্ধা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি এ কে এম মেহেদী হাসান জানান, ফরিদপুর জেলার এই তরুণীর (২০) সঙ্গে শাহাদত হোসেনের মুঠোফোনে পরিচয়ের সূত্রে গত আগস্ট মাসে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। স্বামী পরিত্যক্তা ওই তরুণী ঢাকার একটি প্লাস্টিক কারখানায় চাকরি করেন।

ওসি এ কে এম মেহেদী হাসান বলেন, সম্প্রতি বিয়ের কথা বলে শাহাদত এই তরুণীকে গোবিন্দগঞ্জে আসতে বলেন। গত বুধবার এই তরুণী গোবিন্দগঞ্জ চলে আসেন। তখন গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার বোয়ালিয়া এলাকার জাহিদ হাসানের বাগানবাড়িতে দুই দিন আটকে রেখে শাহাদত, জাহিদ, জাহাঙ্গীর, জহুরুল ও তাঁর বন্ধুরা এই তরুণীকে পালাক্রমে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। পরে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এই তরুণী ওই বাড়ি থেকে কৌশলে পালিয়ে থানায় এসে অভিযোগ করেন। পুলিশ রাতভর অভিযান চালিয়ে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় ওই তরুণী বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত পলাতক অন্য আসামিদের আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।