Thank you for trying Sticky AMP!!

দুদিন ধরে ভোমরা বন্দর দিয়ে কোনো পেঁয়াজ ঢোকেনি

ফাইল ছবি

চার দিন আমদানির পর সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে আবার পেঁয়াজ আসা বন্ধ হয়ে গেছে। বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটা পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। তবে অন্যান্য পণ্য যথারীতি আমদানি হয়েছে।
ভোমরা স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মহসিন হোসেন জানান, শনি থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত—৪ দিনে ৪৩টি ট্রাকে ৯৯১ মেট্রিক টন ভারতীয় পেঁয়াজ ভোমরা বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে। বুধবার কোনো পেঁয়াজ ভোমরা বন্দর দিয়ে ঢোকেনি। বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটা পর্যন্ত কোনো পেঁয়াজভর্তি ট্রাক আসেনি। আসবে কি আসবে না, তা তিনি বলতে পারেননি। তবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তাদের লিখিতভাবে কোনো কিছু জানায়নি।

ভোমরা কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, কোনো রকম পূর্বঘোষণা ছাড়াই ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ভারতের পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর ১৯ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪ দিনে ৪৩ ট্রাকে ৯৯১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বন্দর দিয়ে বাংলাদেশের ভোমরা বন্দরে ঢোকে। তারপর বুধবার কোনো পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। বৃহস্পতিবারও বেলা আড়াইটা পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে কোনো পেঁয়াজভর্তি ট্রাক বাংলাদেশে ঢোকেনি।
এর আগে মঙ্গলবার ৩টি ট্রাকে ৬৬, সোমবার ৪টি ট্রাকে ৯৬, রোববার ৫টি ট্রাকে ১০৮ ও শনিবার ৩১টি ট্রাকে ৭২১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ভারতের ঘোজাডাঙ্গা দিয়ে ভোমরা বন্দরে ঢোকে।

সাতক্ষীরার ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যেসব পেঁয়াজের ট্রাকের কাগজপত্র প্রস্তুত ছিল এমন ৪৩টি পেঁয়াজের ট্রাক গত ৪ দিনে ভোমরা বন্দরে ঢুকেছে। ভারতীয় নিষেধাজ্ঞায় ১০-১২ দিন ধরে ৩০০টি ট্রাকে বস্তাবন্দী অবস্থায় ঘোজাডাঙ্গা বন্দরে পেঁয়াজ বৃষ্টিতে ভিজে ও রোদে পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এর ফলে আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিতে পড়েছেন।