Thank you for trying Sticky AMP!!

দুধের চেয়ে ভুসির দাম বেশি

সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে গরুর প্রতি লিটার দুধ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা দরে। আর গরুর খাবার ভুসি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪২ টাকায়। এতে বেশি দাম দিয়ে গবাদিপশুর জন্য খাদ্য কিনতে গিয়ে গরু পালনকারী ব্যক্তিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। উপজেলার ধানগড়া, চান্দাইকোনা, রায়গঞ্জসহ পাঁচটি বাজারে গত বৃহস্পতিবার খোঁজ নিয়ে এবং দুধের ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়। 

উপজেলার ধানগড়া ইউনিয়নের আবুদিয়া গ্রামের আবু সাঈদ বলেন, গৃহস্থরা যা–ই উৎপাদন করুক, তার যথাযথ দাম পান না। এখানে ১ কেজি ভুসির দাম ৪২ টাকা। অথচ ১ লিটার দুধের দাম ৩৫ টাকা। শুধু ভুসি না, এর সঙ্গে আরও অনেক কিছু গরুকে খাওয়াতে হয়। গরুর এসব খাবারের খরচ যোগ করলে তা অনেক বেশি হয়। অথচ সে অনুযায়ী দুধের দাম খুব কম বলে জানান তিনি।

কুড়িগাঁতী গ্রামের দুলাল হোসেন বলেন, কয়েক দিন আগেও দুধের দাম ভালোই ছিল, কিন্তু এখন খুবই কম। এতে গরুর দুধ বিক্রি করে তাঁদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। স্থানীয় আরও পাঁচজন একই কথা বলেন।

চান্দাইকোনা এলাকার আবদুল হান্নান শেখ বলেন, ঈদের পর থেকে দুধের দাম কমেছে। অবশ্য এতে তাঁদের সুবিধা হয়েছে। কারণ এখন কম দামে বেশি পরিমাণে দুধ খেতে পারছেন তাঁরা।

রণতিথা এলাকার শিক্ষক মাসুদ রানা বলেন, বর্তমান বাজারে দই-মিষ্টির চাহিদা কম। তাই গরুর দুধের দামও কম। অবশ্য আম-কাঁঠালের ভরা মৌসুমে দুধের দাম কম হওয়ায় সাধারণ মানুষ একটু শান্তিতে খেতে পারছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ধানগড়া বাজারের ব্যবসায়ী আবদুল লতিফ সরকার বলেন, গরুর খাবার হিসেবে ভুসির ব্যবহার অনেক বেড়েছে। এখন অনেকেই গরুকে ভুসি খাওয়ায়। ভালো মানের এক কেজি ভুসি ৪০-৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

এ বিষয়ে স্থানীয় ব্রহ্মগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম সরওয়ারও আক্ষেপ করে বলেন, গৃহস্থরা তো কিছু করতে গেলেই সেটার দাম কমে। আর কিছু কিনতে গেলে সেটার দাম বাড়ে।