Thank you for trying Sticky AMP!!

দুর্ঘটনা ঠেকাতে স্বেচ্ছাশ্রমে সড়কের বাঁকের ঝোপঝাড় পরিষ্কার

দুর্ঘটনার ঝুঁকি রোধে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ঝোপঝাড় পরিষ্কারসহ মাটি অপসারণ করা হয়। রোববার জুড়ী-লাঠিটিলা সড়কের গোয়ালবাড়ি বাজার এলাকায়

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা সদর থেকে লাঠিটিলা যেতে গোয়ালবাড়ি বাজারের কাছে সড়কে দুই পাশের টিলার মাঝখানে একটি বড় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক রয়েছে। বাঁকের দুই পাশে ঝোপঝাড় ও টিলার মাটি ধসে পড়ার কারণে এক পাশ থেকে অন্য পাশের গাড়ি দেখা যায় না। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।

এ অবস্থায় দুর্ঘটনা ঠেকাতে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে সেখানকার ঝোপঝাড় পরিষ্কারের পাশাপাশি মাটি অপসারণ করা হয়। ‘জাগরণ সমাজকল্যাণ সংস্থা’ নামের স্থানীয় একটি সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে আজ রোববার এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

এলাকাবাসী জানান, স্থানটি ঝোপঝাড়ে ঘেরা থাকে। এ ছাড়া বৃষ্টিতে টিলা ধসে সড়কের পাশে স্তূপ হয়ে যায়। ফলে সড়ক সরু হয়ে পড়ে। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে বিভিন্ন ধরনের যান চলাচল করে। বাঁকের কারণে গাড়িচালকেরা সমস্যায় পড়ে যান। অসতর্কতাবশত অনেকে দুর্ঘটনার শিকার হন। ১৬ ডিসেম্বর নাহিদ আহমদ (২০) নামের স্থানীয় পূর্ব গোয়ালবাড়ি গ্রামের এক তরুণ মোটরসাইকেলে করে উপজেলা সদরে যাচ্ছিলেন। বাঁকে পৌঁছালে বিপরীতমুখী পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে তাঁর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে তিনি নিহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা বলেন, সকাল নয়টার দিকে সংগঠনের ২০ থেকে ২৫ জন সদস্য ঝোপঝাড় পরিষ্কারের কাজে নামেন। এ সময় আশপাশের লোকজনও সহযোগিতার হাত বাড়ান। সংগঠনের সদস্যরা বাঁকে দুই পাশে অবস্থিত টিলার ঝোপঝাড় কেটে পরিষ্কার করেন। পরে ধসে পড়া মাটি ঠেলাগাড়িতে তুলে অন্যত্র নিয়ে ফেলেন।

খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন, গোয়ালবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন আহমদ, পূর্ব জুড়ী ইউপির চেয়ারম্যান সালেহ উদ্দিন আহমদসহ এলাকার অনেকে সেখানে ছুটে গিয়ে সংগঠনের সদস্যদের এ কাজে উৎসাহ জোগান। বেলা প্রায় তিনটা পর্যন্ত কাজ চলে।

সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক ফয়ছল আহমদ বিকেলে বলেন, সড়কের ওই স্থানের বাঁকটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ঝোপঝাড় ও মাটি অপসারণ করায় আপাতত ঝুঁকি কিছুটা কেটেছে। তবে গাড়িচালকদের সচেতন করতে সেখানে সাইনবোর্ড স্থাপন করা জরুরি।

জুড়ী-লাঠিটিলা সড়কটি সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের আওতাধীন। জুড়ীতে দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানটির উপসহকারী প্রকৌশলী সহদেব সূত্রধর মুঠোফোনে বলেন, বাঁকের দুই পাশে সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড স্থাপন করে দেওয়া হবে।