Thank you for trying Sticky AMP!!

দু-একজন খারাপ থাকতে পারে, পুরো বাহিনীকে দোষারোপ করা যাবে না

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির মুজিব বর্ষ সমাপনী অনুষ্ঠানে অতিথিদের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী। রোববার বিকেলে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে

র‌্যাবকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন থেকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে ১২টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার চিঠির বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, যাঁরা এ ধরনের চিঠি দিয়েছেন, তাঁরা অসত্য তথ্য দিয়ে দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, র‍্যাবের দু–একজন সদস্য খারাপ থাকতে পারে, আইন অনুযায়ী তাদের শাস্তি হবে। এ জন্য ঢালাওভাবে পুরো বাহিনীকে দোষারোপ করা যাবে না।

আজ রোববার বিকেলে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি (বিডিইউ) আয়োজিত মুজিব বর্ষ সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক।

র‌্যাবকে কীভাবে মূল্যায়ন করেন জনতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, র‌্যাব একটি বিরাট বাহিনী, এখানে এক দু-চারজন খারাপ থাকতে পারেন। তার অর্থ এই নয় যে একজন–দুজনের খারাপ কর্মের জন্য একটা সম্প্রদায়কে খারাপ বলা যাবে। তিনি বলেন, ‘র‌্যাবে ৫-১০ জন কর্মী বা সদস্য খারাপ নেই তা আমি মনি করি না। খারাপ থাকতে পারে। তাদের আইনুগভাবে বিচার হবে, শাস্তি হবে। কিন্তু সামগ্রিকভাবে একটা বাহিনীকে দোষারোপ করা—এটা সম্ভব না।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য মুনাজ আহমেদ নূর। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন গাজীপুর জেলা প্রশাসক মো. আনিসুর রহমান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈয়দ হুমায়ুন আখতার, কালিয়াকৈর উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন সিকদার, কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম আজাদ, গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সানজিনা আফরিন, কালিয়াকৈর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জামাল হোসেন, কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী মোজাম্মেল হক বলেন, বাংলাদেশকে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে নেতৃত্বদানের উপযোগী করে গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি স্থাপন করেছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশকে টেকসই করার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা।