Thank you for trying Sticky AMP!!

দেশে ফিরলেন ২০ বাংলাদেশি, ছেড়ে গেলেন ১২০ ভারতীয়

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে ভারতে লকডাউনের মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় আটকে পড়া ২০ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। আর বাংলাদেশে আটকে পড়া ১২০ ভারতীয় নাগরিক নিজ দেশে ফিরে গেছেন। সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওলা স্থলবন্দরের অভিবাসন (ইমিগ্রেশন) শাখার মাধ্যমে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে বাংলাদেশ ও ভারতীয় নাগরিকদের আসা-যাওয়ার এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।

স্থলবন্দর সূত্র জানায়, করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সতর্কতামূলক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইমিগ্রেশন সুবিধা বন্ধ থাকায় ভারতের বিভিন্ন এলাকায় এসব বাংলাদেশি নাগরিক আটকে পড়েছিলেন। তাঁরা পড়ালেখা, ব্যবসা-বাণিজ্য, চিকিৎসাসহ নানা কারণে ভারতে গিয়েছিলেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারি নির্দেশনা ও বিশেষ ব্যবস্থাপনায় শেওলা স্থলবন্দর দিয়ে তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর সব ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষে সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দিয়ে বাড়ি ফেরার সুযোগ দেওয়া হয়। তাঁদের কারও শরীরে করোনার কোনো উপসর্গ পাওয়া যায়নি। একইভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় আটকে পড়া ১২০ ভারতীয় নাগরিক শেওলা স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে ফিরে গেছেন। তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিষয়টি ভারত সীমান্ত এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্তরা দেখবেন বলেও জানা গেছে।

স্থলবন্দরের মেডিকেল টিমের দায়িত্বে থাকা বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা নয়ন মল্লিক বলেন, ভারত থেকে দেশে ফেরা ২০ বাংলাদেশি নাগরিককে শেওলা স্থলবন্দর হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের পর সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে অবস্থান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে করোনাভাইরাসের কোনো উপসর্গের উপস্থিতি মেলেনি।

দেশে ফেরা ভারতের এনআইটি শিলচরে অধ্যয়নরত নাইমুল হক নামের এক বাংলাদেশি বলেন, ‘গত ২০ মার্চ থেকে শিলচরের একটি রেস্টহাউসে আমিসহ আরও কয়েকজন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী লকডাউনে ছিলাম। আমাদের সবার করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষা করা হয়েছে। পরে আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অনুমতি পাওয়ায় আমরা ২ মাস ৮ দিন পর বাংলাদেশে ফিরে এসেছি।’

আয়শা সিদ্দিকা নামের একজন ভারতীয় জানিয়েছেন, তিনি প্রায় আড়াই মাস আগে ভারতের আসাম থেকে বাংলাদেশে এসেছিলেন। দীর্ঘদিন থাকায় আর্থিক সমস্যা ছাড়াও পরিবারের সঙ্গে খুব একটা যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। দেশে ফেরার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতে ফেরার অনুমতি পাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘শেওলা স্থলবন্দর থেকে সব ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষে আমাদেরকে ভারতে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এখানকার দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বলেছেন, ভারত সীমান্তের কর্মকর্তারা আমাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের সুযোগ দেবেন।’