Thank you for trying Sticky AMP!!

দ্বিতীয় মেয়াদও শেষ, শুরু হয়নি ছয় প্রকল্পের কাজ

সুনামগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলায় অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির প্রথম পর্যায়ের প্রকল্পের কাজ শেষ করার দুই দফা মেয়াদ পেরিয়ে গেছে। তবে এখনো ছয়টি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়নি। এই অবস্থায় টাকা ফেরত যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে এ উপজেলায় অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির প্রথম পর্যায়ে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নের জন্য গত বছরের অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া যায়। অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু করে গত ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা ছিল। ১০টি ইউপির চেয়ারম্যানরা তালিকা গত বছরের ১১ অক্টোবরের মধ্যে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয়ে জমা দেন। ৯ ডিসেম্বর জেলা কমিটি এই উপজেলার সব প্রকল্প অনুমোদন করে। কাজ সম্পন্ন করার জন্য দ্বিতীয় দফায় মেয়াদ বাড়ানো হয় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ২৬টি প্রকল্পের মধ্যে ছয়টির কাজ এখনো শুরু হয়নি। এগুলো হলো মধ্যনগর ইউনিয়নের মরিচাকুড়ি হাওরের বিভিন্ন স্থানে ভাঙা বাঁধ মেরামত, সেলবরষ ইউনিয়নে জেলা রাস্তা থেকে জমিদার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ, সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের দয়ালপুর থেকে রংপুর হাটি খাল পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ, চামরদানী ইউনিয়নের আমজোড়া রমজান মাস্টারের বাড়ি থেকে পশ্চিমের গোপাট পর্যন্ত মাটি ভরাট, দক্ষিণ আমজোড়া থেকে পাঙ্গাইসা পর্যন্ত মাটি ভরাট ও বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের হামিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ওই গ্রামের একটি রাস্তায় মাটি ভরাট করার কাজ।

ফলে এ প্রকল্পের টাকা ফেরত চলে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। আবার কাগজে-কলমে কাজ হয়েছে দেখিয়ে সে টাকা তুলে নেওয়ারও আশঙ্কা করছেন শ্রমিকেরা।

বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আজিম মাহমুদ বলেন, নানা ঝামেলায় প্রকল্পের কাজটি এখনো শুরু করা যায়নি। দু–এক দিনের মধ্যে কাজটি শুরু করা হবে।

পিআইও প্রজেশ চন্দ্র দাস বলেন, উপজেলায় প্রকল্পের ৬২ শতাংশ শেষ হয়েছে। হাওর থেকে এবার দেরিতে পানি নামায় যথাসময়ে সব কটি প্রকল্পের কাজ দ্বিতীয় দফা মেয়াদেও শেষ করা যায়নি। কাজের মেয়াদ ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে গত মঙ্গলবার চিঠি পাঠানো হয়েছে। কাজ না করলে টাকা ফেরত পাঠানো হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুনতাসির হাসান বলেন, কারও গাফিলতির কারণে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির প্রকল্পের টাকা ফেরত গেলে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।