Thank you for trying Sticky AMP!!

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের ধলই চা-বাগান খুলে দেওয়ার দাবিতে চা–শ্রমিকদের মানববন্ধন

ধলই চা–বাগান আবার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের ধলই চা-বাগান আবার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে নোটিশ দিয়ে বন্ধ ঘোষণা করে চা–বাগান কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশেকুল হক প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকালে আবারও ধলই চা–বাগান বন্ধের ঘোষণার কথা তাঁকে জানানো হয়েছে। বিষয়টি তিনি খোঁজ নিয়ে দেখছেন।

এর আগে গত সোমবার বিকেল চারটায় মৌলভীবাজার-৪ আসনের সাংসদ, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল গতকাল সকাল থেকে ধলই চা–বাগান খোলা হবে। এরই মধ্যে গোপনে বাগানের ব্যবস্থাপকের বাগানে প্রবেশ করা নিয়ে চা–শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের বাগ্‌বিতণ্ডা ও দুই নারী শ্রমিক লাঞ্ছিত হওয়া নিয়ে এজিএমকে মারধর ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে বিকেলে নোটিশ দিয়ে আবার ধলই চা–বাগান বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের মনু-ধলই ভ্যালির সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাম পাইনকা বলেন, ১৭ আগস্ট মৌলভীবাজার-৪ আসনের সাংসদ এম এ শহীদের উপস্থিতিতে বৈঠকে গতকাল থেকে ধলই চা–বাগান খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আর অভিযুক্ত ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলাম আপাতত চা–বাগানের বাইরের কার্যালয়ে যুক্ত থাকার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্ত অমান্য করে গোপনে ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলাম ধলই চা–বাগানে প্রবেশ করে বাংলোয় অবস্থান করেন। গতকাল সকালে আবার ধলই চা–বাগান কোম্পানির এজিএম খালেদ খান ধলই চা–বাগানে প্রবেশ করলে উত্তেজনা ছড়ায়। দুই নারী লাঞ্ছিত ও গাড়ির কাচ ভাঙার ঘটনা ঘটে। ধলই চা–বাগান কোম্পানি পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনার সৃষ্টি করে শ্রমিকদের উচ্ছৃঙ্খল প্রমাণিত করে আবার চা–বাগান বন্ধ ঘোষণা করেছে।

কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান বলেন, ধলই চা–বাগান কোম্পানির এজিএম ও ব্যবস্থাপককে অবরুদ্ধ করা, জিপ গাড়ির কাচ ভাঙচুর এবং দুই নারী চা–শ্রমিক লাঞ্ছিতের ঘটনা ঘটেছে বলে তাঁরা জেনেছেন। তবে এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেননি।