Thank you for trying Sticky AMP!!

নওগাঁয় ২৪ ঘণ্টায় ৫৯ জনের করোনা শনাক্ত

করোনাভাইরাস

নওগাঁয় গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩১টি নমুনা পরীক্ষা করে ৫৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ। এই সময়ে করোনায় নতুন কেউ মারা যাননি। গতকাল শুক্রবার আসা প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২৪ ঘণ্টায় ৩৪২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ছিল ১৮ দশমিক ৭১ শতাংশ। এই সময়েও জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যুর ঘটনা ছিল না।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে ১০৩ জনের নমুনা আরটি-পিসিআরে পরীক্ষা করে ৪৫ জনের করোনা পজিটিভ আসে। পিসিআর পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৪৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এ ছাড়া অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে ১২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১২ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। অ্যান্টিজের পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

ডেপুটি সিভিল সার্জন বলেন, যেখানে এ জেলায় প্রতিদিন অন্তত ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ নমুনা সংগ্রহ হওয়া উচিত, সেখানে এখন প্রতিদিন নমুনা সংগ্রহ হচ্ছে মাত্র ৩০০ থেকে ৩৫০টি করে।

নতুন শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সদর উপজেলায় রয়েছেন ১৬ জন,  রানীনগর ও বদলগাছীতে শনাক্ত ১ জন করে, আত্রাই ও মহাদেবপুরে ৪ জন করে, মান্দা ও ধামইরহাটে ৬ জন করে, পত্নীতলা ও সাপাহারে ৭ জন করে, নিয়ামতপুরে ২ জন এবং পোরশা উপজেলায় ৫ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন।

নওগাঁয় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের ২৩ এপ্রিল। এ পর্যন্ত ১৮ হাজার ৫২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২ হাজার ৮০৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত করোনায় ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির ফোকাল পারসন ও ডেপুটি সিভিল সার্জন মঞ্জুর-এ মোর্শেদ বলেন, গত ঈদুল ফিতরের পর থেকে জেলায় আশঙ্কাজনক হারে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে গেলেও মানুষের মধ্যে নমুনা দেওয়ার আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। জেলার করোনা পরিস্থিতি জানার জন্য এবং মানুষকে নমুনা দিতে আগ্রহী করতে বিনা মূল্যে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছে। গত রবি ও সোমবার উন্মুক্ত স্থানে ক্যাম্প করে পথচলতি মানুষের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপরও মানুষের মধ্যে নমুনা দেওয়ার তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। যেখানে এ জেলায় প্রতিদিন অন্তত ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ নমুনা সংগ্রহ হওয়া উচিত, সেখানে এখন প্রতিদিন নমুনা সংগ্রহ হচ্ছে মাত্র ৩০০ থেকে ৩৫০টি করে। কম পরিমাণ নমুনা সংগ্রহ হওয়ায় জেলার সঠিক চিত্র বোঝা যাচ্ছে না।