Thank you for trying Sticky AMP!!

নতুন শনাক্ত ৭৮, বেড়েছে সুস্থতার হার

প্রতীকী ছবি

খুলনা বিভাগে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়েছিল চুয়াডাঙ্গায় আজ থেকে ঠিক ছয় মাস আগে ১৯ মার্চ। আজ শনিবার পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার সংখ্যা ২১ হাজার ১৯৯ এবং সুস্থ হয়েছেন ১৭ হাজার ৬১২ জন। বিভাগে চলতি সেপ্টেম্বর মাসে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার কমেছে, বেড়েছে সুস্থতার হার।
চলতি মাসের প্রথম ১৯ দিনে গড়ে প্রতিদিন ১১৮ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। বিপরীতে একই সময়ে প্রতিদিন গড়ে ১৯৩ জনের বেশি করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠছেন। গত আগস্ট মাসে বিভাগে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ২৩০ জন করোনায় সংক্রমিত এবং গড়ে ২২০ জন সুস্থ হয়েছিলেন।

খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাওয়া উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, খুলনা বিভাগের মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ১৯ মার্চ। ৮৫তম দিনে সংখ্যাটা হাজারে পৌঁছায়। ৩ জুলাই ১০৭তম দিনে এসে বিভাগে রোগীর সংখ্যা ৫ হাজার অতিক্রম করে। ২৩ জুলাই ১২৭তম দিনে রোগী ১০ হাজার এবং ১২ আগস্ট ১২৭তম দিনে কোভিড রোগী ১৫ হাজার ছাড়ায়। ৭ সেপ্টেম্বর ১৭৩তম দিনে শনাক্তের সংখ্যা ২০ হাজার এবং ১৭ সেপ্টেম্বর ১৮৩তম দিনে রোগীর সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়ে যায়।
এদিকে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে আজ সকাল আটটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৭৭ জন সুস্থ হয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে নতুন করে ৭৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ের মধ্যে এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ঝিনাইদহের একজন মারা গেছেন।

নতুন শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় ৩ জন, যশোরে ২০, ঝিনাইদহে ৬, খুলনায় ৩০, কুষ্টিয়ায় ১৫, মাগুরায় ১, মেহেরপুরে ২ ও সাতক্ষীরায় ১ জন রয়েছেন। এ সময় বাগেরহাট ও নড়াইলে কোনো রোগী শনাক্ত হননি।
বিভাগে মারা যাওয়া করোনা রোগীদের মধ্যে খুলনায় ৯৩ জন, কুষ্টিয়ায় ৬৫, যশোরে ৪৪, চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহে ৩২ জন করে, সাতক্ষীরায় ৩০, বাগেরহাটে ২২, নড়াইলে ২০, মেহেরপুরে ১৫ এবং মাগুরায় ১৩ জন রয়েছেন।

স্বাস্থ্য বিভাগের সূত্রে জানা যায়, বিভাগে এ পর্যন্ত খুলনা জেলায় সর্বোচ্চ ৬ হাজার ২২৮ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ ছাড়া যশোরে ৩ হাজার ৭৪৪ জন, কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার ১৪৯, ঝিনাইদহে ১ হাজার ৮৫৭, চুয়াডাঙ্গায় ১ হাজার ৩৮৮, নড়াইলে ১ হাজার ২৯১, সাতক্ষীরায় ১ হাজার ৯১, বাগেরহাটে ৯৭৩, মাগুরায় ৮৮৫ ও মেহেরপুরে ৫৯৩ জনের করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক রাশেদা সুলতানা বলেন, এ বিভাগে শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৩ শতাংশের একটু বেশি। সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ।