Thank you for trying Sticky AMP!!

নমুনা দেওয়ার ১৬ দিন পর জানলেন তাঁরা করোনা পজিটিভ

করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স

১৩ জুন জ্বর ও শ্বাসকষ্ট অনুভব হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়েছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান। সঙ্গে স্ত্রী ও দুই সন্তানের নমুনাও দিয়েছিলেন। নমুনা পরীক্ষার সেই ফলাফল ১৬ দিন পরে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় হাতে পান। প্রতিবেদন থেকে জানতে পারেন, তাঁরা চারজনই কোভিড–১৯–এ আক্রান্ত।

সাধারণত কোভিড–১৯–এ আক্রান্ত হওয়ার ১৪ দিন পর দ্বিতীয় দফায় নমুনা পরীক্ষা করতে হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে। ফলে নমুনা দেওয়ার ১৬ দিন পর পরীক্ষার প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর ‘কী করণীয়’ ভেবে হতভম্ব হয়ে পড়েছে পরিবারটি।
আক্রান্ত চেয়ারম্যানের নাম মো. নুর ইসলাম। তিনি চিরিরবন্দর উপজেলার নশরতপুর ইউপির চেয়ারম্যান পদে দায়িত্বপালন করছেন।

নমুনা দেওয়ার ১৬ দিন পর প্রতিবেদন পাওয়ার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আজমল হক। তিনি বলেন, চেয়ারম্যান নুর ইসলামের শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে তিনি নমুনা পরীক্ষার জন্য দেন। সঙ্গে পরিবারের অন্য সদস্যদেরও নমুনা পরীক্ষার জন্য দেন। পরীক্ষাগারে নমুনার জট থাকায় প্রতিবেদন পেতে দেরি হয়েছে।

আজমল হক জানান, চেয়ারম্যান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা এখন সুস্থ আছেন। দুই–এক দিনের মধ্যে আবারও তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করে পরবর্তী পরিস্থিতি জানতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।
এদিকে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ১৩ জনের।

জেলা সিভিল সার্জন আবদুল কুদ্দুস বলেন, আজ মঙ্গলবার সকালে ৮০৯টি নমুনা দিনাজপুর পি‌সিআর ল্যাব থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এরপরও দিনাজপুর পিসিআর ল্যাবে পাঁচ শতা‌ধিক নমুনা জমা রয়েছে। তবে কারও শরীরে করোনাভাইরাসের চারটি উপসর্গ না থাক‌লে তাঁকে নমুনা পরীক্ষা করা থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।