Thank you for trying Sticky AMP!!

নাটোরে ফল পেতে দেরি, তাই সংক্রমণ বাড়ছে

করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স

নাটোরে নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পেতে অনেক দেরি হওয়ায় পজিটিভ রোগীর মাধ্যমে সংক্রমণ বাড়ছে। নমুনা দাতাদের হোম কোয়ারিন্টেনে থাকতে বলা হলেও তাঁরা তা মানছেন না। তাঁরা কাজে যোগ দিচ্ছেন, হাট-বাজারে যাচ্ছেন। ফলে সংক্রমণ ঠেকানো যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে সিভিল সার্জন কাজী মিজানুর রহমান বলেন, ‘নাটোরে ল্যাবরেটরি নাই। তাই পরীক্ষার বিষয়টি আমাদের হাতে না। আমরা রাজশাহীতে নমুনা পাঠিয়ে ফলাফলের অপেক্ষায় থাকি। ফলাফল আসতে কখনো কখনো ৭ থেকে ১০ দিনও লেগে যায়। কিন্তু নমুনা যারা দেন, তাঁরা তত দিন কোয়ারেন্টিন মানেন না।’

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত জেলার ৪৬০টি নমুনা পরীক্ষার জন্য অপেক্ষমাণ আছে। এর সঙ্গে প্রতিদিন নতুন নতুন নমুনা যুক্ত হচ্ছে। ফলে অপেক্ষমাণ তালিকা লম্বা হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি নমুনা অপেক্ষমাণ আছে লালপুর উপজেলার ৯৬টি। এ ছাড়া বড়াইগ্রামের ৮৬টি, সদর হাসপাতালের ৭৬, সদর উপজেলার ৭২, বাগাতিপাড়ার ৪৮, গুরুদাসপুরের ৪৮, সিংড়ার ২৫ ও সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো ৯টি নমুনা পরীক্ষার জন্য অপেক্ষমাণ আছে।

জেলায় পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ আরও সাতজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়াল ২৬৪ জন।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টা পর্যন্ত জেলায় নতুন করে সাতজন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সদরে চারজন এবং সিংড়া, লালপুর ও বাগাতিপাড়ায় একজন করে রয়েছেন।

সদরের চারজনের মধ্যে একজনের বাড়ি চাঁদপুরে। তিনি পাবনা জেলা পুলিশে কর্মরত। অন্য একজন হচ্ছেন কাফুরিয়ার গ্রামীণ ব্যাংকের এক কর্মী। এ ছাড়া শহরের মিরপাড়া ও তেবাড়িয়া এলাকার দুজন বাসিন্দা রয়েছেন। এর বাইরে লালপুর উপজেলার এক সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক সংক্রমিত হয়েছেন।