Thank you for trying Sticky AMP!!

নারায়ণগঞ্জে ৩০০ শয্যার হাসপাতাল শুধু করোনা রোগীর জন্য

প্রতীকী ছবি

১০০ শয্যার নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাপাসাতালকে (ভিক্টোরিয়া) জীবাণুমুক্ত করার দুই দিন পর আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ফের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এ ছাড়া শহরের খানপুরে অবস্থিত ৩০০ শয্যার হাসপাতালকে শুধু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।

জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব ও জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ আজ প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ১০০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল জীবাণুমুক্ত করার পর হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গত সোমবার এই হাসপাতালকে জীবাণুমুক্ত করতে জরুরি বিভাগ বন্ধের ঘোষণা দেন জেলা সিভিল সার্জন। ৩০০ শয্যার নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালকে আইসোলেশন হাসপাতাল করার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সেই মোতাবেক কাজ চলছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জরুরি প্রয়োজনে শহরের মন্ডলপাড়ায় অবিস্থত ১০০ শয্যার নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালকে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করার প্রস্তুতি ছিল জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের। কিন্তু হাসপাতালটি শহরের ভেতরে ঘিঞ্জি এলাকায় অবস্থিত এবং আশপাশে আবাসিকসহ বিভিন্ন স্থাপনা রয়েছে। অন্যদিকে ৩০০ শয্যার হাসপাতালের আশপাশে কোনো স্থাপনা নেই, ফাঁকা জায়গা আছে। সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী ৩০০ শয্যার হাসপাতালকে করোনার চিকিৎসার জন্য কাজে লাগানোর প্রস্তাব দেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এতে সাড়া দিয়ে হাসপাতালটিকে প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছে।

জেলা করোনা বিষয়ক ফোকাল পারসন এবং নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, খানপুরের ৩০০ শয্যার হাসপাতালে শুধু করোনা রোগীর চিকিৎসা চলবে। এখানে ভর্তি রোগীদের ১০০ শয্যার হাসপাতালে স্থানান্তর করা শুরু হয়েছে।

৩০০ শয্যার নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক গৌতম রায় প্রথম আলোকে বলেন, 'আশা করছি আগামী তিন দিনের মধ্যে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে পারব। এই হাসপাতালে আইসিইউ নেই, ভেন্টিলেটর নেই। তবুও আমরা সংকটময় মুহুর্তে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা আমাদের সাধ্য অনুযায়ী সেবা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।'

নারায়ণগঞ্জ জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক নারীসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসক, নার্সসহ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬ জন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলে সাজেদা হাসপাতালকে ৫০ শয্যার করোনা আইসোলেশন হাসপাতাল করা হয়েছে। সেখানে আক্রান্ত ১৪ জন রোগী ভর্তি আছেন। এ ছাড়া কুয়েত মৈত্রীতে ১২ জন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন চিকিৎসাধীন আছেন।