Thank you for trying Sticky AMP!!

নার্সদের কোলে বড় হচ্ছে পরী

নার্স হামিদার কোলে শিশু পরী। মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে। প্রথম আলো

নার্স হামিদা আক্তারের কোলে প্রশান্তির ঘুমে পরী। জটিল জীবনের কোনো কিছুতেই তার যায়-আসে না। এত হইচই, ছোটাছুটি, চিকিৎসক, নার্স—কে এল, কে গেল, এ নিয়ে কোনো কৌতূহল, উদ্বেগ তাকে ছুঁতেও পারছে না। পরীর দিন কাটছে নির্বিঘ্ন শান্তির আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে। মাতৃমমতার নরম আদরে।

গত ২৪ এপ্রিল মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের জানকীছড়া এলাকায় রাস্তার পাশে এক নবজাতককে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। পরে খবর পেয়ে পুলিশ নবজাতকটিকে উদ্ধার করে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৫ এপ্রিল মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। খুবই ঝুঁকিতে ছিল তার জীবন। তবে চিকিৎসক-নার্সদের সার্বক্ষণিক চিকিৎসা, সেবা-শুশ্রূষায় সুস্থ ও নতুন জীবন ফিরে পায় সে। নাম রাখা হয় পরী। এরপর মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে শিশুটি বেড়ে উঠছে।

গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের পুরোনো ভবনের তৃতীয় তলায় শিশু ওয়ার্ডের স্ক্যানো (স্পেশাল কেয়ার ইউনিট) বিভাগে গেলে দায়িত্বপ্রাপ্ত নার্সরা জানালেন, ওখানে ঢোকা যাবে না। শিশুস্বাস্থ্যের জন্য বাইরের লোকজনের প্রবেশ ঝুঁকিপূর্ণ। চিকিৎসক শহীদুল ইসলাম খানের অনুমতির পরই নার্স হামিদা আক্তার পরীকে কোলে করে নিয়ে আসেন ওয়ার্ডের সংরক্ষিত এলাকার একটি কক্ষে। পরী তখন ঘুমিয়ে ছিল।

জ্যেষ্ঠ স্টাফ নার্স চম্পা বেগম বলেন, পরীকে নার্সরাই দেখাশোনা করছেন। যখন যে দায়িত্বে থাকেন, তিনিই পরীকে দেখেন। খাওয়াদাওয়া করান। ওষুধ-পথ্য, পোশাক-আশাক সরবরাহ করছে সমাজকল্যাণ বিভাগ।

এদিকে নবজাতকটির মা-বাবার পরিচয়ও জানা গেছে। গত ২৮ এপ্রিল শিশুটির জন্মদাতা হিসেবে পুলিশের হাতে আটক হন জেলার শ্রীমঙ্গলের ভগলপুর গ্রামের অরুণ কর। ওই দিন বিকেলে অরুণ করের নামে অবিবাহিত এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও সন্তান জন্ম দেওয়ার অভিযোগ এনে মামলা করেন ওই কিশোরীর মা। অরুণ কর বর্তমানে মৌলভীবাজার জেলা কারাগারে।