Thank you for trying Sticky AMP!!

নিকলীর যুদ্ধাপরাধী মুসলেম মারা গেলেন কাশিমপুরে

মুসলেম প্রধান।

কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা নিকলীর যুদ্ধাপরাধী মুসলেম প্রধান (৭১) কাশিমপুর কারাগারে মারা গেছেন। গতকাল শুক্রবার সকালে তিনি কারাগারে বন্দী অবস্থায় মারা যান। বেলা ১১টার দিকে কারাগার থেকে তাঁর স্বজনদের ফোন করে মৃত্যুসংবাদ জানানো হয়। এরপর স্বজনেরা গিয়ে মুসলেমের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসেন।

নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সামছুল আলম সিদ্দিকী জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাঁর জানাজা শেষে বাড়ির কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

যুদ্ধাপরাধী মুসলেম প্রধান নিকলীর কামারহাটি গ্রামের মৃত শেখ লাভু মিয়ার ছেলে। ২০১৫ সালের ৬ জুলাই বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ থেকে মুসলেম প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল। ওই দিনই মধ্যরাতে (৭ সেপ্টেম্বর) কামারহাটি গ্রাম থেকে রাজাকার মুসলেমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৭ সেপ্টেম্বর তাঁকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এরপর থেকে তিনি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ ছিলেন।

হত্যা, অপহরণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অপরাধে ২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল মানবতাবিরোধী অপরাধে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চ মুসলেম প্রধানকে মৃত্যুদণ্ড প্রধান করেন।

নিকলীর রাজাকার কমান্ডার সৈয়দ মোহাম্মদ হুসাইনের (৭০) সহযোগী ছিলেন মুসলেম। গ্রেপ্তারের আগে মুসলেম প্রধান ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে হত্যাসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধে লিপ্ত ছিলেন বলে তদন্তে উঠে আসে। তবে তদন্তকাজে বাধা প্রদান ও সাক্ষীদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে মর্মে ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ অভিযোগ করে সৈয়দ মোহাম্মদ হুসাইন ও মুসলেম প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানান। এরপরই ট্রাইব্যুনাল মোহাম্মদ হুসাইন ও মুসলেমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন।