Thank you for trying Sticky AMP!!

নিজেকে হত্যার পরিকল্পনার কথা জেনে গেছেন, দাবি কাদের মির্জার

আবদুল কাদের মির্জা

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা এবার নিজেকে হত্যায় প্রতিপক্ষের ছক জেনে গেছেন বলে দাবি করেছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে নিজের ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্টে কাদের মির্জা প্রতিপক্ষের ওই পরিকল্পনা জেনে যাওয়ার বিষয়টি প্রকাশ করেন।

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কাদের মির্জা তাঁর ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পাওয়া গেছে আমাকে হত্যা করে তারা এই নীলনকশা বাস্তবায়ন করবে। ২১ মার্চ নোয়াখালী জেলহাজতে কারাবন্দী মিজানুর রহমান বাদলের (গত মঙ্গলবার তিনি আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়েছেন) সঙ্গে একরামুল করিম চৌধুরী ও জেহান (সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সামছুদ্দিন জোহান) দেখা করে একটা নতুন ছক তৈরি করেছে।’

কাদের মির্জা বলেন, ‘নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনে (ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনী এলাকা) শিউলী একরামকে (কামরুন্নাহার শিউলী) এমপি করবে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন সাহেব পদত্যাগ করে মিজানুর রহমান বাদলকে চেয়ারম্যান করবে। কবিরহাট উপজেলায় সাবাব চৌধুরীকে (সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে) উপজেলার চেয়ারম্যান করা হবে। এ ছাড়া কবিরহাট পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রায়হান বুঝিয়েছে সে মন্ত্রীর লোক। কিন্তু আসলে সে একরামুল করিম চৌধুরীর লোক। তাই রায়হান কবিরহাট পৌরসভা মেয়র থাকবে এবং বসুরহাট পৌরসভায় আমাকে হত্যা করে ফখরুল ইসলাম রাহাতকে (কাদের মির্জার ভাগনে) বসুরহাট পৌর মেয়র করা হবে। এই বিষয়ে মন্ত্রীর স্ত্রী ও নিজাম হাজারীর সঙ্গে ফোন আলাপ করে তারা সিদ্ধান্ত করে। এটাই হচ্ছে তাদের নতুন ছক।’
ফেসবুকে কাদের মির্জার ওই পোস্টের পর রাত ৮টা ২৩ মিনিট পর্যন্ত ১৭৬ জন নানা মন্তব্য করেন। ১০২ জন পোস্টটি শেয়ার করেছেন। এক হাজার জনের বেশি মানুষ পোস্টটি লাইক, হাসি, দুঃখ প্রকাশের নানা প্রতিক্রিয়া দেখান। জিয়া প্রধান নামে একজন লিখেছেন, ‘এই খবর যখন আপনি পেয়ে গেছেন, তাহলে আপনার কিছু হবে না।’ ইমাম হুসেন নামে একজন লিখেছেন, ‘আপনার নামে ডিজিটাল আইনে মামলা করা হোক। আমি মনে করি প্রমাণ ছাড়া গুজব ছড়ান পাগল।’

কাদের মির্জা ফেসবুকে তাঁকে হত্যার পরিকল্পনার পোস্ট দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘তিনি বিশ্বস্ত সূত্রে তথ্যটি জেনেছেন। তবে ওই সূত্রের নাম তিনি বলবেন না।’ এ বিষয়ে তিনি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করবেন কি না জানতে চাইলে কাদের মির্জা বলেন, থানা তাঁর কোনো অভিযোগ-জিডি নেয় না। তিনি আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবেন।

ফেসবুক পোস্টে কাদের মির্জার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক ফণীভূষণ দেবনাথ আজ রাত সোয়া আটটার দিকে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এমপি সাহেব (সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী) কারাগারে আসেননি। তাই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তা ছাড়া কারাগারে এ ধরনের কোনো বৈঠকের সুযোগও নাই।’

একই বিষয়ে জানতে চাইলে মঙ্গলবার কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গত দুই মাসের বেশি সময় ধরে সাংসদ একরামুল করিমের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়নি। কারাগারে দেখা হওয়ার তো প্রশ্নই উঠে না। কারাগারের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করলেই কাদের মির্জার বক্তব্য কতটা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তার প্রমাণ মিলবে।