Thank you for trying Sticky AMP!!

নিজের চেষ্টায় বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল শিশুটি

প্রতীকী ছবি

মেয়েটি সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া ইউনিয়নের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। ক্লাসে তার রোল নম্বর ২। পড়ালেখায় মনোযোগী মেয়েটির বাবা বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী। মা আর দুলাভাই স্থানীয় ঘটকের সহায়তায় তার বিয়ে ঠিক করেন। আজ শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে বরযাত্রী আসার কথা। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার শিশুটি প্রধান শিক্ষককে ফোন করে বিষয়টি জানিয়ে তাকে বিয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে বলে। পরে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) নির্দেশে এই বিয়ে বন্ধ করা হয়।

প্রধান শিক্ষক বিষয়টি তাঁর ক্লাস্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. তারিকুল ইসলামকে জানান। তিনি বিষয়টি সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) জানান। সেই মোতাবেক ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে বাল্যবিবাহটি বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সদস্য ও গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে বিয়ে বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন। প্রধান শিক্ষক মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে তার মা ও অন্যদের বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে জানিয়ে বলেন, মেয়েটির বিয়ে বন্ধ না করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রধান শিক্ষক নাজমা খাতুন দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, করোনাভাইরাসের এই মহাদুর্যোগের সময়েও বাল্যবিবাহের নামে পঞ্চম শ্রেণির একটি মেয়েকে বিপদে ফেলার পাঁয়তারা চলছে‌। মেয়েটি ফোন করে বলে এখন তার বিয়ে করার বয়স হয়নি আর ইচ্ছাও নেই। তাই তিনি যেন যেকোনোভাবেই এ বিয়ের হাত থেকে তাকে রক্ষা করেন।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুবীর কুমার দাশ বেলা দুইটার দিকে প্রথম আলোকে মুঠোফোনে বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীটির বাল্যবিবাহ বন্ধ করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নজরে রয়েছে বলে তিনি জানান।