Thank you for trying Sticky AMP!!

নোয়াখালীতে ‘কঠোর লকডাউনের’ মধ্যে সর্বোচ্চ ১৯১ জনের করোনা শনাক্ত

করোনাভাইরাস

নোয়াখালীতে প্রশাসনের জারি করা দ্বিতীয় সপ্তাহের ‘কঠোর লকডাউনের’ মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় জেলায় সর্বোচ্চ ১৯১ জনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার বেড়ে হয়েছে ৩৩ দশমিক ৫৭। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ছিল ২০ দশমিক ৯১।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে গতকাল সোমবার রাত ১২টার দিকে প্রকাশ করা ২৪ ঘণ্টার করোনাসংক্রান্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত রোববার জেলার তিনটি করোনা পরীক্ষাকেন্দ্রে ৫৬৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১৯১ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এর মধ্যে ১২৫ জন সদর উপজেলার বাসিন্দা। অন্যদের মধ্যে কোম্পানীগঞ্জের ২৭ জন, বেগমগঞ্জের ২০ জন, চাটখিলের ৬ জন, সোনাইমুড়ীর ৩ জন, সেনবাগের ২ জন, কবিরহাটের ৭ জন ও সুবর্ণচরের ১ জন আছেন। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনায় কারও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।

নোয়াখালীতে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি ঠেকাতে ৫ জুন জেলা করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটি প্রথমে এক সপ্তাহের (৫ থেকে ১১ জুন) ‘কঠোর লকডাউন’ ঘোষণা করে। এরপর ১০ জুন লকডাউনের মেয়াদ এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ১৮ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। প্রথম সপ্তাহের লকডাউনের শুরুতে জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ছিল ৩৪ শতাংশ। সেটি ক্রমে কমছিল। ১৩ জুন সংক্রমণের হার ২০ শতাংশে নেমে আসে। কিন্তু পরের দিন সেটি বেড়ে ৩৩ দশমিক ৫৭ হয়।

প্রশাসনঘোষিত কঠোর লকডাউনের মধ্যেও জেলায় সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্তের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জেলা করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব ও জেলার সিভিল সার্জন মাসুম ইফতেখার বলেন, এটি একটি সাধারণ বিষয়। হঠাৎ হঠাৎ সংক্রমণের হার বেড়ে যেতে পারে। যেদিন নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বেশি হয়, সেদিন এমনিতেই শনাক্তের হার কিছুটা বেশি হয়। তা ছাড়া নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে যাঁরা নমুনা দিতে আসেন, তাঁদের বেশির ভাগই আসেন করোনার উপসর্গ নিয়ে। তাঁদের নমুনা পরীক্ষায় পজিটিভ ফলাফল তুলনামূলকভাবে বেশি পাওয়া যায়।

সিভিল সার্জন আরও বলেন, গত রোববার এক দিনে অনেক বেশিসংখ্যক মানুষ নমুনা দিতে এসেছিলেন। এ কারণে জেলায় এক দিনে করোনাকালের সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হয়েছে। তবে এটি নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। যেভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, তাতে করোনা সংক্রমণের হার দ্রুত কমে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।