Thank you for trying Sticky AMP!!

নোয়াখালীতে ইউপি চেয়ারম্যানসহ আরও তিনজন গ্রেপ্তার

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে হিন্দুদের মন্দির, দোকানপাট, বাসাবাড়িতে হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং দুজন নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়েরকৃত পৃথক মামলায় বিএনপি সমর্থক একলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা-পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার একলাশপুর ও কাদিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন একলাশপুর ইউপির চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান (৫৫), কাদিরপুরের মো. ইলিয়াছ (৩৫) এবং একলাশপুরের মো. মিজানুর রহমান (৩০)। এর মধ্যে চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের একজন প্রার্থী। এ নিয়ে জেলায় মন্দিরে হামলা-ভাঙচুর ও দুজন নিহত হওয়ার ঘটনার মামলায় ৮০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে জানানো হয়।

পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, চৌমুহনীতে গত শুক্রবার হামলার ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের চিহ্নিত করা হয় এবং তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মন্দিরে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ৮০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

এদিকে বিএনপি-সমর্থক ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামাক্ষ্যা চন্দ্র দাস। প্রথম আলোকে আজ বুধবার তিনি বলেন, খলিলুর চেয়ারম্যান করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর পথ থেকে বেঁচে এসেছেন। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। ইউপি নির্বাচন সামনে রেখে শুধু তিনিই নন, এ রকম আরও অনেককে মন্দির ও দোকানপাট ভাঙচুরের মামলায় জড়ানো হচ্ছে।

কুমিল্লার ঘটনার জের ধরে শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে চৌমুহনী শহরের বিভিন্ন মসজিদ থেকে কয়েক হাজার মুসল্লি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বের হন। তাঁরা চৌমুহনী ডিবি রোডে (ফেনী-নোয়াখালী সড়ক) এসে একত্র হয়ে হিন্দুদের দোকানপাটে ও মন্দির এবং বাসাবাড়িতে হামলা-ভাঙচুর চালায়। এ সময় বিজয়া পূজামণ্ডপ এলাকায় হামলায় যতন সাহা (৪২) এবং ইসকন মন্দিরে প্রান্ত চন্দ্র দাস (২৬) নামে দুজনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া আহত হয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদার ও চার পুলিশ সদস্যসহ অর্ধশতাধিক।