Thank you for trying Sticky AMP!!

নোয়াখালীতে কিশোরীকে ধর্ষণ, ভিডিও ধারণ ও অপহরণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২

ধর্ষণ

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় কিশোরীকে ধর্ষণ, ভিডিও চিত্র ধারণ ও অপহরণের অভিযোগে দুই তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়ন থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার দুই তরুণ হলেন সাইফুল ইসলাম ওরফে ইমন (২৩) ও মো. ফয়সাল (২২)। বৃহস্পতিবার রাতে মেয়েটির মা বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় ইমন, ফয়সালসহ চারজনকে আসামি করে ধর্ষণ, ভিডিও চিত্র ধারণ ও অপহরণের অভিযোগে মামলাটি করেন।

মেয়েটির মা অভিযোগ করেন, ফয়সাল ও ইমন তাঁর মেয়েকে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করতেন। একপর্যায়ে ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে দুজন কৌশলে ঘরে থাকা পানির বোতলে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিয়ে যান। এরপর রাতে তিনি ওই বোতলের পানি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে ইমন ও ফয়সাল বেড়া কেটে ঘরে ঢুকে তাঁর মেয়েকে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণ করেন। ওই রাতেই স্থানীয় এক চা-দোকানিকে অস্ত্রের মুখে ডেকে এনে মেয়ের অশ্লীল ভিডিও ধারণ করান। পরে ওই ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ইমন তাঁর মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। শেষ পর্যন্ত মেয়েকে বিয়ে দিয়েও তাঁদের অত্যাচার থেকে রক্ষা পাননি।

ওই নারীর ভাষ্য, বিয়ের পর দুই দফায় তাঁর মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যান ইমন ও তাঁর সহযোগীরা। দুই দফায় টাকা দিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করেছেন। সর্বশেষ ২৪ ডিসেম্বর তাঁর মেয়েকে অপহরণ করেন মো. রাসেল নামের একজন। এরপর রাসেল, ইমন, ফয়সাল মেয়েকে ফিরিয়ে দিতে মুঠোফোনে তাঁর কাছে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। বর্তমানে তাঁরা মেয়েকে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে অনৈতিক কাজ করাচ্ছেন।

বেগমগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ কামরুজ্জামান শিকদার বলেন, ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগ পাওয়ার পরে রাতেই এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অপর দুই আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। এ ছাড়া ওই ছাত্রীকে উদ্ধারের জন্য ইতিমধ্যে পুলিশের একটি দল ঢাকায় রওনা হয়েছে।