Thank you for trying Sticky AMP!!

‘পকেট কমিটি’ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ

নরসিংদীর পলাশে উপজেলা ছাত্রলীগের কাউন্সিল না করে ‘পকেট কমিটি’ গঠনের প্রতিবাদে ও তা বাতিলের দাবিতে ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীদের বিক্ষোভ মিছিল। ২৯ মার্চ বিকেল

নরসিংদীর পলাশে উপজেলা ছাত্রলীগের কাউন্সিল না করে ‘পকেট কমিটি’ গঠনের প্রতিবাদে ও তা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পলাশ বাসস্ট্যান্ডে অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভ সমাবেশে উপজেলা ছাত্রলীগের অন্তত পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী অংশ নেন।

ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী অভিযোগ করে বলেন, আগের কমিটি বিলুপ্ত না করেই উপজেলার সক্রিয় নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে রাতের আঁধারে ওই পকেট কমিটি গঠিত হয়েছে।

এ ঘটনায় ঘোড়াশাল ইউরিয়া সার কারখানার সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। পরে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পলাশ বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ মোহাম্মদ রাজন। বক্তব্য দেন উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সমশের খান, সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক, গজারিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, চরসিন্দুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শফিকুল আলম, ডাঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রাজন আহমেদ প্রমুখ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল রোববার রাতে পলাশ উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয়। এতে রনি প্রধানকে সভাপতি ও আরিফুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে ৮ সদস্যবিশিষ্ট এই নতুন কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয়। আগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা না করে নবগঠিত কমিটি ঘোষণা করায় উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হতবাক হয়েছেন। তাই ক্ষুব্ধ হয়েই এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেন তাঁরা।

বক্তারা বলেন, পলাশ উপজেলা ছাত্রলীগের কোনো নেতা-কর্মীকে কিছু না জানিয়ে রাতের আঁধারে এই পকেট কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ অর্থের বিনিময়ে পকেট কমিটির অনুমোদন করিয়েছেন, যা ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র ও আদর্শবিরোধী এবং অবৈধ। অযাচিত লোকজন দিয়ে এই কমিটি গঠনের ফলে সংগঠনের সুনাম নষ্টের পাশাপাশি কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়বে।

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ মোহাম্মদ রাজন বলেন, কাউকে কিছু না জানিয়ে রাতের আঁধারে গঠিত এমন পকেট কমিটি উপজেলা ছাত্রলীগ চায় না। দ্রুত এই কমিটি বাতিল করে কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের পাশাপাশি নবগঠিত কমিটিকে প্রতিহত করা হবে।